ইয়েমেনে যুদ্ধে নিহতদের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে ইয়েমেনে চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট সমর্থিত দেশটির সরকারি বাহিনী ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৯০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে শনিবার (৬ মার্চ) এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ। খবরে বলা হয়েছে, মারিব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে অভিযান চালিয়েছে বিদ্রোহীরা। এটা ইয়েমেনি সরকারি বাহিনীর হাতে থাকা সর্বশেষ বড় ঘাঁটি।
মারিব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারালে ইয়েমেনি সরকার বড় ধাক্কা খাবে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ যুদ্ধে হাজার হাজার অধিবাসী ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। তারা মরুভূমির বিচ্ছিন্ন ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। তেল-সমৃদ্ধ প্রদেশটিতে শনিবারের সংঘর্ষে সরকারি বাহিনীর ৩২ যোদ্ধা নিহত হন। আর সৌদি জোটের বিমান হামলায় ৫৮ হুতি বিদ্রোহীর প্রাণহানি ঘটে।
হুতিদের এই অগ্রগতি প্রতিবেশী সৌদি আরবের জন্যও বিপত্তির কারণ হয়ে দেখা দেবে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটিতে প্রায়ই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে দেখা গেছে ইয়েমেনি বিদ্রোহীদের। শুক্রবার হুতিদের নিক্ষেপ করা কয়েকটি ড্রোন সৌদি আটকে দিতে পারলেও তাদের দুজন নাগরিক আহত হয়েছেন।
এদিকে মারিবে অভিযান বন্ধে হুতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন। এছাড়াও দাতাদের সম্মেলনে ১৯ কোটি ১০ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, কেবল সহায়তা দিয়ে সংঘাত বন্ধ করা যাবে না। এই যুদ্ধ বন্ধের মাধ্যমে আমরা ইয়েমেনে মানবিক সংকটের অবসান ঘটাতে পারবো। কাজেই যুদ্ধ বন্ধে জোরালোভাবে কূটনৈতিক চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।