তরিকুল ইসলাম | মালয়েশিয়া থেকেঃ
করোনায় আটকেপড়া কর্মীদের মালয়েশিয়ায় ফেরার সুযোগ
করোনা মহামারিতে দেশে ছুটিতে এসে যারা আটকা পড়েছেন, তাদের মালয়েশিয়া ফিরে যাওয়ার পথ এবার সুগম হয়েছে।
ইতোমধ্যে অনেকেই দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পেয়ে ফিরে গেছেন। মাই ট্রাভেল পাস (My travel pass) নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করে শর্তসাপেক্ষে দেশটিতে ফিরতে পারছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্টদূত গোলাম সারোয়ার। তবে এ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
যাদের পিএলকেএনের ক্যাটাগরি প্লানটেশন, অ্যাগ্রিকালচার ও কনস্ট্রাকশন ভিসা রয়েছে, তারা আগে অনুমতি পাচ্ছেন। কারণ এসব সেক্টরে শ্রমিক সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
গত বছরের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই টানা লকডাউনে চলে যায় মালয়েশিয়া। এ সময় পারমিটধারী বাংলাদেশি কর্মী যারা ছুটিতে দেশে এসেছিলেন, তারা ফিরতে পারেননি। বেশিরভাগ প্রবাসীর ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অন্যদিকে করোনার কারণে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ও জিডিপি ২২ বছর পর এই প্রথম হুমকির মুখে পড়েছে। শ্রমিক সংকটে তাদের শিল্পবাণিজ্যে উৎপাদন কমে গেছে।
মালয়েশিয়ায় ফেরা না ফেরা নির্ভর করছে নিয়োগকর্তার সহযোগিতার ওপর। আবেদন করে মালিকের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন বিভাগের অনুমতি নিলেই দেশটিতে প্রবেশ করা সম্ভব।
কোনো দালাল বা এজেন্টের মাধ্যমে কন্ট্রাক করে প্রতারিত না হওয়ার জন্য দূতাবাস থেকে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ দালাল বা এজেন্ট এ সংক্রান্ত কোনো ক্ষমতা রাখে না।
আবেদন প্রক্রিয়ার প্রথমেই মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাসপোর্ট ও ভিসা কপি দিয়ে মাই ট্রাভেল পাস নামক ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে।
এর পর আবেদন গৃহীত হলে কোভিট-১৯ টেস্ট রিপোর্ট, বিমান টিকিট ও কোয়ারেন্টিনে থাকার খরচের ব্যবস্থা করতে হবে।
ছুটিতে থাকা প্রবাসীদের ফেরার ব্যাপারে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারোয়ার সবাইকে যার যার নিয়োগকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।