ইউক্রেনে দেশের জন্য যুদ্ধ করতে দেশে ফিরেছে ৬৬ হাজারেরও বেশি নাগরিক। শনিবার (০৫ ফেব্রুয়রি) এক টুইটে এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ।

তিনি বলেছেন, রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনে ফিরেছেন ৬৬ হাজার ২২৪ জন। এর আগে ইউক্রেনের দুই শহরের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। শহর দুটি হলো- মারিউপুল ও ভোলনোভখার। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, মস্কোর স্থানীয় সময় শনিবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে খণ্ডকালীন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের মারিউপুল ও ভোলনোভখার বাসিন্দারা যেন নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারেন, সে জন্যই এ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলো।

বিবিসি জানায়, এ যুদ্ধবিরতি স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টা স্থায়ী হবে। তবে আল জাজিরা জানায়, এ সময় ৫ ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের গোমেল অঞ্চলের অজ্ঞাত এক স্থানে তিন ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। আলোচনায় রাশিয়াকে মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় রাজি করানো হয়, যেন বেসামরিক মানুষজন গোলযোগপূর্ণ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে পারে এবং তুমুল লড়াইয়ের জায়গাগুলোতে মানুষকে চিকিৎসা ও খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলও পোডোলিয়াক জানান, দ্রুত যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। আলোচনায় ক্রিমিয়া ও দোনবাসকে স্বীকৃতি দেওয়ার রুশ দাবি ইউক্রেন মানতে পারেনি বলেও জানানো হয়।

শুক্রবার (৪ মার্চ) ইউক্রেনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিখাইলও পোডোলিয়াক টুইট বার্তায় বলেন, দ্বিতীয় দফার আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনের জন্য যে ধরনের সফলতা দরকার ছিল; তা আসেনি। কেবল মানবিক সংস্থাগুলোর জন্য একটি সফলতা আছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর দেশটির একের পর এক শহর দখলে নেয় রাশিয়া। ইউক্রেনের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে পুতিন বাহিনী। তবে এতে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতিও কম নয়।

 

 

কলমকথা/ বিথী