ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হয় ২৪ ফেব্রুয়ারি। রাশিয়ার সেনাদের ঠেকাতে দুই সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। যুদ্ধে সেনাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষও।  

রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নিলেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশটিকে ঘায়েল করতে চাইছে পশ্চিমারা। রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পৃথিবীর বহু দেশে বিক্ষোভ চলছে। এমনকি রাশিয়ার নাগরিকরাও এতে অংশ নিচ্ছেন।

এবার ‘নগ্ন’ বুকে ইউক্রেনের পতাকা এঁকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন একদল নারী। ফ্রান্সের ‘ফেমেন’ নামের একটি নারীবাদী সংগঠন এই ভিন্নধর্মী বিক্ষোভের আয়োজন করে।

প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের পাশে আয়োজিত এই বিক্ষোভে অন্তত ৫০ জন নারী অংশ নেন। তাদের শরীরে #StopPutinsWar ও #PutinWarCriminal স্লোগান লেখা ছিল। তাদের এই বিক্ষোভের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ভাইরাল।

এই বিক্ষোভের ভিডিও টুইট করেছে মিডিয়া সংস্থা ভিসেগ্রাদ ২৪। ফেমেন তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘ভ্লাদিমির পুতিন বর্তমানে পুরো ইউক্রেনকে জিম্মি করে রেখেছে, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। তারা পালাতে পারছে না। পুতিন একটি দেশকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চাইছেন’।

ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদ দেওয়া উচিত বলেও দাবি করে সংগঠনটি।

এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌম রক্ষার জন্য লড়াই করাই ইউক্রেনের একমাত্র অপরাধ। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ভ্লাদিমির পুতিন গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। স্বৈরশাসকের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের অবশ্যই দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফেমেন নামের সংগঠনটি যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন ঘটনার বিরুদ্ধে ‘টপলেস’ প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ইউক্রেনে হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ও অন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে হামলা বেড়েছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর ১৭ লাখেরও বেশি মানুষ দেশটি ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে সোমবার জাতিসংঘের সবশেষ তথ্যে বলা হয়েছে।

সূত্র: নিউজ১৮