দীর্ঘ ছয় বছরের ভালোবাসাকে পরিণতি দিতে চেয়েছিলেন দুজনে। কিন্তু কনেপক্ষই পাত্রকে মানতে নারাজ। শেষ পর্যন্ত বাড়ির অমতেই পালিয়ে বিয়ে করেন দুজনে। কিন্তু শান্তি কোথায়? দুদিন না যেতেই বুঝলেন বাড়ির অমতে বিয়ে করার কড়া মাশুল গুনতে হতে পারে, রয়েছে প্রাণহানির শঙ্কাও। সে কারণেই সরাসরি পুলিশের দ্বারস্থ হলেন নববধূ।

এদিকে নববধূর পরিচয় জানতেই চোখ কপালে উঠল পুলিশকর্মীদের। কারণ তিনি আর কেউ নন, খোদ রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়ে। বাবা ও পরিবারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে পুলিশি নিরাপত্তার দাবি করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, অভিযোগকারীর নাম জয়াকল্যাণী, পেশায় তিনি চিকিৎসক। তবে তার আরেকটি পরিচয় হল তামিলনাড়ুর মন্ত্রী পিকে শেখরের মেয়ে তিনি। বেঙ্গালুরুর এক থানায় হাজির হয়ে নিরাপত্তার দাবি জানান মন্ত্রীকন্যা। কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, বাড়ির অমতে বিয়ে করেছেন, তারপর থেকেই তার ও তার স্বামীর প্রাণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কর্নাটকের রায়চুরের একটি মঠে হিন্দু আচার-রীতি অনুসরণ করেই জয়াকল্যাণী ও সতীশ বিয়ে করেন। এদিকে মন্ত্রীও মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানান থানায় এবং দাবি করেন যে, তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে।

সরাসরি বাবার বিরুদ্ধে মুখ না খুললেও জয়াকল্যাণী জানান, বিয়ের পর থেকেই তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যেকোনো মুহূর্তেই বড় কোনো বিপত্তি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। সেই কারণেই পুলিশি নিরাপত্তা চাইছেন তারা।

 

কলমকথা/ বিথী