পায়ের যত্ন নিতে অনেকেই পার্লারে গিয়ে পেডিকিউর করান। সেই পেডিকিউর করাতে গিয়ে মারাত্মাক সংক্রমণের কারণে পা কেটে বাদ দিতে হয়েছিল এক নারীর।
তবে ভুক্তভোগী নারী ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৭ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা) পেয়েছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাসিন্দা ক্লারা শেলম্যান ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে টাম্পা এলাকার ট্যামি’স নেইলস টু নামের এক পার্লারে পেডিকিউর করেন।
পেডিকিউরের সময় সেখানকার কর্মীর অসচেতনতার জন্য ক্লারার পা কেটে যায়। পরে সেখানে সংক্রমণ দেখা দেয়।
ক্লারার আগে থেকেই পেরিফেরাল আর্টেরিয়াল ডিজিজ (পিএডি) থাকায় সংক্রমণ খুব দ্রুত তার পায়ে ছড়িয়ে পড়ে।
পেরিফেরাল আর্টেরিয়াল ডিজিজের ক্ষেত্রে পায়ের মধ্যে থাকা শিরাগুলোতে ব্লক তৈরি হয়। ফলে পা সচল রাখার জন্য যে পরিমাণ পুষ্টি ও অক্সিজেনের দরকার হয় সেটা হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্ক থেকে পায়ে পৌঁছায় না। পায়ের পেশী ও স্নায়ুগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
দ্য সান জানায়, কয়েকমাসের মধ্যে সংক্রমণ এতো বেশি ছড়িয়ে পড়ে যে ওই নারীর পা চিকিৎসকরা কেটে ফেলতে বাধ্য হয়।
এদিকে হাসপাতালের প্রতিশোধের জন্য ওই নারীকে নিজের বাড়িও হারাতে হয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এক পেডিকিউরের কারণে জীবন বদলানোর তিন বছর পর, ওই নারীকে ট্যামি’স নেইলস টু ক্ষতিপূরণ দেয় বলে জানা গেছে।
অবশ্য ট্যামি’স নেইলস টু প্রথমে ওই ঘটনার দায় নিতে অস্বীকার করে বলেছিল, ক্লারার ভুলের কারণে এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। পরে নিজেদের দোষ স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।