রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েক মিনিট পরেই মঙ্গলবার (২৩ মে) ফের গ্রেফতার করা হয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশিকে। এদিন দলটির আরেক নেতা মুসাররাত পারভেজ চিমার সঙ্গেও ঘটেছে একই ঘটনা। খবর জিও নিউজের।

দ্বিতীয় দফায় গ্রেফতারের আগে কারাগারে বাইরে এক বক্তৃতায় কোরেশি জোর দিয়ে বলেন, তিনি এখনো পিটিআইতে রয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। এর পরেই সাবেক মন্ত্রীকে অজ্ঞাত কোনো স্থানে নিয়ে যায় পুলিশ।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাম্প্রতিক গ্রেফতার পরবর্তী সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ধরপাকড়ের মধ্যে পিটিআই’র শীর্ষ স্থানীয় নেতারা একের পর এক পদত্যাগের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটলো।

এর আগে, আন্দোলন সৃষ্টি এবং কর্মীদের উসকানি দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন মর্মে অঙ্গীকারনামা জমা দেওয়ার পর কোরেশির মুক্তির আদেশ দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)।
আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় গত ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেফতারের পরে পিটিআই সমর্থকদের সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হওয়া শীর্ষ পিটিআই নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শাহ মাহমুদ কোরেশি।

সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় দাঙ্গা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল পুলিশ। তবে গ্রেফতারের আগে পিটিআই’র এ নেতা দলীয় কর্মীদের পাকিস্তানে ‘প্রকৃত স্বাধীনতার’ জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমি প্রতিটি ফোরামে দেশের স্বার্থরক্ষা করেছি। আমি ৪০ বছর ধরে বাস্তব রাজনীতি করছি।

কোরেশি দাবি করেন, তার কোনো অনুশোচনা নেই এবং তিনি এমন কোনো উসকানিমূলক বক্তব্যও দেননি যার জন্য মামলা হতে পারে। পিটিআইর আন্দোলন লক্ষ্যে পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।

পরে গত ১৮ মে কোরেশির গ্রেফতারের আদেশ বাতিল করে তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। আদালত তখন বলেছিলেন, এ পিটিআই নেতার মুক্তি তার একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা দাখিলের ওপর নির্ভর করবে যে, তিনি সহিংস বিক্ষোভে অংশ নেবেন না এবং ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সহিংসতায় প্ররোচণা দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।