অকালপ্রয়াণে নজির স্থাপন করে গেলেন কন্নড় অভিনেতা পুনীত রাজকুমার ৷ তার দান করা চোখে আলো জ্বলবে কারো অন্ধকার দৃষ্টিতে৷ কিংবদন্তি অভিনেতা বাবার দেখানো পথেই পা রেখেছেন তিনি৷
পুনীত রাজকুমারের বাবা প্রয়াত ডা. রাজকুমার ১৯৯৪ সালে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছিলেন৷ সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন পুনীত রাজকুমারও দান করে গেছেন নিজের দুই চোখ।
নারায়ণ নেথ্রালয়ের চেয়ারম্যান ডক্টর ভুজঙ্গ শেট্টী জানিয়েছেন, ‘‘ডা. রাজকুমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্য মরণোত্তর চক্ষুদান করবেন৷ তার সেই কথা পরিবার রেখেছে৷ এমনকি এই কঠিন সময়েও দুপুরবেলা তারা আমাকে ফোন করে প্রয়াত অভিনেতার চোখের কর্নিয়া সংগ্রহ করতে বলেছেন৷ তারা প্রকৃতই সাহসী৷’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে গ্রহীতাদের এক লম্বা তালিকা অপেক্ষা করে আছে৷ সৌভাগ্যক্রমে চক্ষুদানের ক্ষেত্রে ব্লাড গ্রুপ মেলানোর দরকার হয় না৷ আমরা শীঘ্রই সংগৃহীত চোখ ব্যবহার করতে পারব৷ আগামীকাল বা তার পর ওই চোখ আমরা প্রতিস্থাপিত করতে পারব বলে আশা করছি৷ একজনের চোখের আলো দিয়ে আবার তারা জগতের আলো দেখতে পাবেন৷’’
শুক্রবার সকালে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান পুনীত। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে কর্নাটক জুড়ে
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।