প্রধান তেল উৎপাদনকারীদের সরবরাহ কমানোর সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ব প্রথম প্রকৃত জ্বালানি সংকটের মধ্যে রয়েছে। সেই সাথে আগের চেয়েও কঠোর এবং ব্যয়বহুল হয়েছে এলএনজির বাজার। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এই মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ)-এর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল।

সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক জ্বালানি সপ্তাহে দেয়া বক্তৃতায় আইইএর এই প্রধান বলেছেন, ইউক্রেন সংকটের মাঝে ইউরোপে এলএনজির ক্রমবর্ধমান আমদানি এবং চীনে পুনরায় জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি বাজারকে আরও কঠিন করে তুলবে।

আগামী বছর বিশ্ববাজারে মাত্র ২০ বিলিয়ন ঘনমিটার নতুন এলএনজি আসবে। ফাতিহ বিরল আরও বলেন, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ মন্দার দ্বারপ্রান্তে থাকার কারণে এটি বিশেষ ঝুঁকির।

যদি আমরা বিশ্ব মন্দার কথা বলি তাহলে আমি বলব ওপেকপ্লাসের তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত সত্যিকার অর্থে দুর্ভাগ্যজনক। কারণ বিশ্বে তেলের চাহিদা বেড়ে এই বছর ২ মিলিয়ন বিপিডির কাছাকাছি পৌছে গেছে।

আইইএর প্রধান উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালে জ্বালানী তেলের ব্যবহার ১.৭ মিলিয়ন বিপিডি বাড়তে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ কারণে বিশ্বের চাহিদা মেটাতে রাশিয়ার তেলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।