যুক্তরাজ্যে আগামী ৪ জুলাই অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, টানা ১৪ বছরের কনজারভেটিভদের শাসনের পর এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশটিতে লেবার পার্টি শাসনক্ষমতায় ফিরতে পারে।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসন মধ্যরাত থেকে শূন্য হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পাঁচ সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
২২ মে বিকালে লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে হাজির হয়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনি জানান, পরবর্তী নির্বাচন হবে ৪ জুলাই।
যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ছয় মাস আগে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন ঋষি সুনাক। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। প্রশ্ন উঠে, মেয়াদ শেষের আগেই কেন নির্বাচন চাইছেন সুনাক?
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমতে থাকা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্চসহ নানা চাপে ছিলেন সুনাক। তাই আগাম নির্বাচন করে পার পাইতে চাইছেন তিনি।
তবে এবারের নির্বাচনে চরম চ্যালেঞ্জ পড়তে হতে পারে ক্ষমতাসীনদের। কেননা গত ২ মে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হয় ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টির। এর ফলে রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরতে লেবার পার্টির আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।