অস্ত্র উৎপাদনসহ নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদারে ইউরোপের অনেক কিছু করা দরকার। ইউরোপ তার নিজের নিরাপত্তার জন্যও যে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল, ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনেই তার প্রমাণ মিলেছে বলে মন্তব্য করেছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন।
অস্ট্রেলিয়া সফরকালে শুক্রবার সিডনিতে এক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় মারিন ইউরোপকে অস্ত্র উৎপাদনসহ নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদারে তাগিদ দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আমার উচিত আপনাদেরকে নির্মম সত্যটা বলা। ইউরোপ এখন মোটেও যথেষ্ট শক্তিশালী না। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া আমরা বিপদে পড়বো।
প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন
“আমার উচিত আপনাদেরকে নির্মম সত্যটা বলা। ইউরোপ এখন মোটেও যথেষ্ট শক্তিশালী না। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া আমরা বিপদে পড়বো,” লোয়ি ইনস্টিটিউটে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে এমনটাই বলেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। মারিন তার বক্তব্যে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ইউরোপের কিছু দেশের রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার চেষ্টারও সমালোচনা করেছেন।
“দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপ রাশিয়ার ব্যাপারে একটি কৌশল তৈরি করছিল, সেটি হচ্ছে- রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনা এবং তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা। আমরা ভেবেছিলাম, এটি যুদ্ধ ঠেকাবে। কিন্তু এ দৃষ্টিভঙ্গী পুরোপুরি ভূল প্রমাণিত হয়েছে,” বলেছেন তিনি।
সম্প্রতি হেলসিঙ্কিতে দেওয়া এক বক্তৃতায় মারিন বলেছিলেন, ইউরোপ বর্তমানে প্রযুক্তি খাতে চীনের ওপর মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
এ নির্ভরশীলতা কাটাতে ইউরোপের উচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো খাতগুলোতে বেশি বিনিয়োগ করা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।