১৯৯১ সালের ২৪ আগস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে ইউক্রেন। আর ঠিক ছয় মাস আগে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া।

ফলে ২৪ আগস্ট যেমন ইউক্রেনের ২১তম স্বাধীনতা দিবস, তেমনই লড়াইয়েরও ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে।

গত ছয় মাস ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল দখল করেছে। কিছু এলাকা ইউক্রেন আবার পুনর্দখল করেছে। তবে যুদ্ধ থেমে নেই; চলছে।

এই অবস্থায় জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার হাত থেকে ক্রাইমিয়া আবার দখল করার শপথ নিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ২০১৪ সালে রাশিয়া বেআইনিভাবে ক্রাইমিয়া দখল করে নেয়। সেই ক্রাইমিয়া স্বাধীন করাটা খুবই জরুরি।

এদিকে, স্বাধীনতা দিবসের আগে ভিডিও ভাষণে হুমকি দিয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, বুধবার (২৫ আগস্ট) স্বাধীনতা দিবসে রাশিয়া যদি কিয়েভে আক্রমণ চালায়, তাহলে তারা কড়া জবাব পাবে।

পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ডুডা জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, অন্য দেশের নেতারা যেন রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে না থাকেন। তিনি বলেছেন, ক্রাইমিয়া ইউক্রেনের অংশ ছিল এবং থাকবে।

জার্মান চ্যান্সেলার শলৎস রাশিয়ার নিন্দা করে বলেছেন, ইউক্রেনের অখণ্ডতা রক্ষা করা হবে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন জানিয়েছেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ক্রাইমিয়াকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া য়ায় না।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ জানিয়েছেন, ইইউ ইউক্রেনকে সমর্থন করে যাবে। মাক্রোঁ বলেছেন, আমাদের মনোভাবে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

আমরা দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাব। ইউক্রেনে যে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে, তার পুরো দায় রাশিয়ার। তারাই ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করেছে।

আমেরিকা এবং ইইউ ইউক্রেনকে শয়ে শয়ে কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। কিন্তু তারা রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি কোনো সামরিক সংঘর্ষে জড়ায়নি। সূত্র : ডয়চে ভেলে