নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, তিনি তার দেশ থেকে রুশ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের বিষয়টি বিবেচনা করছেন।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিদ্ধান্তটাকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। ইউক্রেনে হামলার সঙ্গে জড়িত রুশ সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড।

এর পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপক্ষীয় আলোচনাও স্থগিত করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড রাশিয়ার সৈন্য ও নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য পণ্য রফতানিও নিষিদ্ধ করেছে।

নিউজিল্যান্ড বলেছে, ইউক্রেনের ওপর হামলা অবৈধ। জেসিন্ডা আরডার্ন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নিরীহ মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার হওয়া উচিত।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন তারা।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, ইউরোপে যুদ্ধ ফিরিয়ে এনেছেন পুতিন। ইইউয়ের জন্য তাকে দায়ী করবে।

ইইউপ্রধান বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে রাশিয়ার অর্থনীতির কৌশলগত বিভিন্ন খাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হবে। আমরা রাশিয়ার অর্থনীতির ভিত্তি দুর্বল করে দেব, যাতে তারা আধুনিকায়নের দিকে না যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইইউয়ে থাকা রুশ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করব, আর রুশ ব্যাংকগুলো যেন ইউরোপীয় আর্থিক বাজারে ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।