বালটিক সাগরের নিচ দিয়ে নির্মিত নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনে তিনটি লিকেজ শনাক্ত করা হয়েছে। এতে মস্কো চরমভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
সোমবার নর্ড স্ট্রিম ওয়ান এবং নর্ড স্ট্রিম টু গ্যাস পাইপলাইনে এই লিকেজ দেখা দেয়। তবে কীভাবে লিকেজ সৃষ্টি হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। খবর সিএসবি নিউজের।

সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম নর্ড স্ট্রিম ওয়ানে লিকেজ শনাক্ত করা হয়, তার কয়েক ঘণ্টা আগে নর্ড স্ট্রিম টুতে গ্যাসের চাপ কমে যায়। রাশিয়া থেকে নির্মিত নর্ড স্টিম গ্যাস পাইপ লাইনের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১২০০ কিলোমিটার এবং ডেনমার্কের ইকোনমিক জোনে এ লিকেজ দেখা দিয়েছে।

আরোও পড়ুন:

শেয়ারদরের সঙ্গে কমলো মূল্যসূচক

ছেলের জন্মদিনে শাকিবের বাসায় অপু, লিখলেন সুখী পরিবার

ইবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি মাহী- সম্পাদক আজাহার

ক্রেমলিনের মুখপাত্রের দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, মোট তিনটি লিকেজের কারণে গ্যাসের চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। তিনি বলেন, সোমবার গ্যাসপ্রম এবং অপারেটিং কোম্পানি দুই পক্ষ থেকেই গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ার বিষয়টি জানা যায়।

পাইপলাইনে লিকেজ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি খুবই বিরক্তিকর খবর, আসলে আমরা গ্যাসের পাইপলাইনে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ নিয়ে কথা বলছি। তবে এখন এটি পরিষ্কার নয়; কি পরিমাণে লিকেজ সৃষ্টি হয়েছে। পেসকভ আরও বলেন, এটি সম্পূর্ণ একটি নজিরবিহীন ঘটনা, যা তদন্ত করা উচিত। গ্যাস পাইপলাইনের এই লিকেজদের কারণে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।

সাগরের পানির নিচেই গ্যাস পাইপলাইনের এই লিকের দেখা দিলেও এখনো পরিবেশগত তেমন কোনো বিপর্যয়ের খবর পাওয়া যায়নি। দি ইউরেশিয়া গ্রুপ জানিয়েছে যে, এই পাইপলাইনের যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও নির্মাণ কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। এই ধরনের সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে সমুদ্রের তলদেশ কংক্রিটের ওপর মোটা স্টিলের পাইপ বসানো হয়েছে।

দুই পাইপলাইনেই এখনো গ্যাসের যথেষ্ট চাপ আছে এবং প্রতিদিন সাড়ে ১৬ কোটি ঘন মিটার গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে। সুইডেনভিত্তিক পাইপলাইন পরিচালনাকারী সংস্থা নর্ড স্ট্রিম বলেছে, এটি পরিবেশের জন্য মারাত্মক রকমের নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি করতে পারে, তবে পানির ভেতরেই এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।