মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর একটি হচ্ছে এয়ারলাইন্স খাত। করোনার প্রভাব কমে আসায় বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিশ্বের এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো।
চলতি বছরের গ্রীষ্মে উড়োজাহাজ পরিবহন খাতের যাত্রী পরিবহন প্রাক-কোভিড পর্যায়ের কাছাকাছি ফেরারও আশা করা হচ্ছে। যদিও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই এখনও মহামারীজনিত লোকসান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
এরমধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানির উচ্চমূল্য ও মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি এ খাতের পুনরুদ্ধারে বাধা তৈরি করতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। সোমবার (২০ জুন) বৈশ্বিক এয়ারলাইন্স খাতের পূর্বাভাস হালনাগাদ করেছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)।
বাণিজ্য জোটটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে এয়ারলাইনসগুলো ৯৭০ কোটি ডলার লোকসান গুনবে। যেখানে ২০২১ সালে সংস্থাগুলো ৪ হাজার ২১০ কোটি ডলার লোকসানের মুখোমুখি হয়েছিল। এর আগে চলতি বছর ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলার লোকসানের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। গত বছরও বৈশ্বিক এয়ারলাইন্স খাতের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়েছিল। এজন্য লোকসানেরও পরিমাণও পূর্বাভাস দেওয়া ৫ হাজার ২০০ কোটি ডলারের চেয়ে কম।
বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ ভ্রমণ পুনরুদ্ধারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে উত্তর আমেরিকা। চলতি বছর একমাত্র এ অঞ্চলই মুনাফার দেখা পাবে। আইএটিএর পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২২ সালে এ অঞ্চলের উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাগুলো ৮৮০ কোটি ডলার মুনাফা পাবে। তবে এভিয়েশন খাতের পুনরুদ্ধারে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে এশিয়া।
কারণ এখনও চীনের সীমান্ত বিধিনিষেধ অব্যাহত রয়েছে এবং জিরো কোভিড নীতির কারণে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারও চাপের মুখে রয়েছে। এজন্য এ অঞ্চলের এয়ারলাইনসগুলোর সম্মিলিত লোকসানের পরিমাণ ৮৯০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে।
এদিকে বিশ্বজুড়ে উচ্চ জ্বালানি ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি উড়োজাহাজ পরিবহন খাতের পুনরুদ্ধারে বাধা তৈরি করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ উচ্চমূল্যস্ফীতি ও ঋণের ক্রমবর্ধমান ব্যয় গ্রীষ্মের পর উড়োজাহাজ ভ্রমণের চাহিদা কমিয়ে দিতে পারে।
সূত্র: দ্য ন্যাশনাল নিউজ
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।