ইউক্রেনের চেরনোবিলের কাছের একটি হ্রদ থেকে পাওয়া গেল দুই মাথা বিশিষ্ট এক আশ্চর্য মাছ। মাছটির দুটি মুখ এবং চারটি চোখ রয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মাছটির একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।
নেটিজেনদের অনেকেই দাবি করছেন, ২০১৭ সালে ওই হ্রদটিতে পারমাণবিক দূষণ ঘটেছিল। আর সেই দূষণের কারণেই এই উদ্ভট দর্শন মাছটির শারীরিক বিকৃতি ঘটেছে। তবে, বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে নিশ্চিত নন, তাদের দাবি, দূষণের কারণেই মাছটির এরকম বিকৃতি ঘটেছে কি না জানতে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন। এ খবর দিয়েছে বৃটিশ গণমাধ্যম ডেইলি স্টার। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ভিডিয়োতে মাছটিকে স্বাস্থ্যকর এবং সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্তবয়স্ক বলে মনে হচ্ছে।
কাজেই সম্ভবত পারমাণবিক দূষণের কারণে এটি এরকম অদ্ভুত দর্শন হয়নি। কারণ সেই ক্ষেত্রে এটির শৈশবেই মৃত্যু হত। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলিনার জীববিজ্ঞানী ড. টিমোথি মুসো বলেছেন, বিকিরণ থেকে হওয়া অধিকাংশ অভিযোজনের ফলে আয়ু কমে যায়। এতদিন বেঁচেই থাকার কথা নয় মাছটির। এই ধরনের অধিকাংশ অভিযোজিত প্রাণী এতদিন বাঁচে না যে সেটি এত বড় হবে।
ড. টিমোথি মুসো এর আগে চেরনোবিল এবং জাপানের ফুকুশিমা দুই জায়গাতেই প্রাণীদের উপর পারমাণবিক দূষণের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, গবেষণার সময় আমরা এরকম শয়ে শয়ে বা হাজার হাজার প্রাণী নিয়ে কাজ করি। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই মনে হতে পারে বিকিরণের কারণেই সেগুলির বিকৃতি ঘটেছে।
তবে, যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা ছাড়া তা নিশ্চিতভাবে বলা প্রায় অসম্ভব। যদি অন্য তেজস্ক্রিয়ভাবে দূষিত স্থানে এই ধরনের অভিযোজন আগে পরিলক্ষিত হয়, তাহলে অবশ্য বলা যায়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।