আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ন্যাটোতে যোগ দিতে যাচ্ছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। গ্রীষ্মের শুরুর দিকে দেশ দুটি ন্যাটোতে যোগ দেবে বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি করে জানিয়েছে দ্য টাইমস।
দ্য টাইমসকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড বিষয়ে কয়েকটি আলাদা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এরপরই বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।
ন্যাটোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনী আগ্রাসন চালানোর পর ফিনল্যান্ড ও সুইডেন গুরুত্বের সঙ্গে জোটে যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করে।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন বলেছেন, ন্যাটোর সম্ভাব্য সদস্যপদ নিয়ে আগামী সপ্তাহে তাদের পার্লামেন্টে আলোচনা শুরু করা হবে। গ্রীষ্মের আগেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা খুব সাবধানে আলোচনা করব, তবে আমরা এই প্রক্রিয়ায় বেশি সময় নিচ্ছি না। কারণ পরিস্থিতি খুব গুরুতর।’
এদিকে মার্চ মাস পর্যন্ত ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেওয়া থেকে বিরত ছিল সুইডেন। সে সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাগদেলেনা অ্যান্ডারসন এ বিষয়ে কোনো কথা বলতেও রাজি ছিলেন না।
সিএনএন জানায়, সুইডেন নিরাপত্তা নীতির বিশ্লেষণ করছে যা মে মাসের শেষ নাগাদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ওই প্রতিবেদনের পরই দেশটির সরকার তার অবস্থান ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে সুইডেনের এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ড কী পদক্ষেপ নেয় তা পর্যালোচনা করে সুইডেন তার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
ন্যাটোতে বর্তমানে সদস্য দেশ রয়েছে ৩০টি। সুইডেন ও ফিনল্যান্ড যদি পশ্চিমাদের এই সামরিক জোটে যোগ দেয় তাহলে সদস্য দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩২-এ গিয়ে দাঁড়াবে।
সূত্র: আল-জাজিরা, সিএনএন
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।