ভারতে একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের নিচে ঝুলে এক যুবক ১৯০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন।ট্রেনের ইঞ্জিনের তলায় প্রবল উত্তাপ তৈরি হয়। সেখানে কারও বেশিক্ষণ থাকা কার্যত অসম্ভব। কিন্তু সেখানেই লুকিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করল এক যুবক।

রোববার রাতে রাজগীর স্টেশন থেকে রওনা হয়েছিল সারনাথ বুদ্ধপূর্ণিমা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। সোমবার ভোর ৪টার দিকে গয়া স্টেশনে পৌঁছায় এটি তখন ওই যুবকের ঝুলে থাকার বিষয়টি চোখে পড়ে চালকের। গয়া স্টেশনে ট্রেন থামতেই ইঞ্জিনের নিচ থেকে কাতর আর্তনাদ শুনতে পেয়েছিলেন চালক।

আরো পড়ুন:দ্বিতীয়বার পরাজয়ের তেতো স্বাদ নিলেন সাকিব

ইঞ্জিনের নিচে উঁকি মারতেই এক যুবককে দেখে চমকে ওঠেন তিনি। তাড়াতাড়ি রেলপুলিশ এবং স্টেশনমাস্টারকে খবর দেন। তার পর যুবককে উদ্ধার করা হয়। প্ল্যাটফরমে টেনে তুলতেই সেখান থেকে সোজা দৌড়ে পালান সেই যুবক।

একে এই প্রবল গরম। তারওপর ট্রেনের ইঞ্জিনের তলা মানে সেখানে তো চলন্ত ইঞ্জিনের তৈরি প্রবল উত্তাপ রয়েছে। সেখানে যে কেউ বসে থাকতে পারে তা কার্যত মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছে রেলের আধিকারিকদের। কিন্তু কীভাবে ইঞ্জিনের নিচে ঢুকলেন যুবক? কোথা থেকেই বা উঠেছিলেন? যে বিষয়টিতে রেলকর্মীরা সবচেয়ে আশ্চর্য হয়েছেন, ইঞ্জিনের নিচে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে কীভাবে শুয়ে থাকলেন ওই যুবক?

 

তাদের মতে, যে অবস্থায় যুবকটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, ওখানে ওই ভাবে শুয়ে থাকলে কারোই বাঁচা সম্ভব নয়। কিন্তু কীভাবে এই যুবক বেঁচে গেলেন সেটাই স্তম্ভিত করেছে গয়া স্টেশনের রেলকর্মীদের।

রেলসূত্র জানায়, সারনাথ বুদ্ধপূর্ণিমা এক্সপ্রেস রাজগীর থেকে গয়ার মধ্যে ৬টি স্টেশনে দাঁড়ায়। কোথাও ২ মিনিট, কোথাও আবার ১০ মিনিট। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই সময়ের মধ্যে কারও পক্ষে ইঞ্জিনের তলায় গিয়ে আশ্রয় নেওয়া সম্ভব নয়। রেলকর্মীদের অনুমান, রাজগীরে থেকেই যুবক ট্রেনে উঠেছেন। যুবকটির পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই ধারণা রেলপুলিশের।