নতুন করে আবারও সরকারবিরোধী সমাবেশের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইমরান খান দলীয় কর্মীদের ইসলামাবাদে ‘হাকিকি আজাদি মার্চ’-এর জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বেশ কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৯ অক্টোবর মহানবী হযরত মুহাম্মদের (স.) জন্মবার্ষিকীর পর যেকোনো সময় দলীয় কর্মীদের নিয়ে লংমার্চ হতে পারে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (৩ অক্টোবর) ফেডারেল রাজধানীতে তার বানি গালার বাসভবনে অনুষ্ঠিত একটি দলীয় বৈঠকের সময় ইমরান খান খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং পাঞ্জাব প্রদেশের দলীয় কর্মীদের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এবার পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই স্বাধীনতা মিছিল বের করা হবে। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বৈঠকে শাহ মাহমুদ কুরেশি, পারভেজ খাত্তাক এবং ইয়াসমিন রশিদসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে করা আদালত অবমাননার মামলা খারিজ করেছে ইসলামাবাদের হাইকোর্ট। সোমবার (৩ অক্টোবর) আদালতের পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।
চলতি বছরের ২০ আগস্ট ইমরান খানের বিরুদ্ধে একটি আদালত অবমাননার মামলা হয়। মূলত দেশটির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জেবা চৌধুরীর বিষয়ে মন্তব্য করার পর ওই মামলাটি হয়। ২০ আগস্ট ইসলামাবাদের এফ-৯ পার্কে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইমরান খান ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা, এক নারী বিচারক, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও আমলাতন্ত্রকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। এরপরেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
ওই মামলা থেকে রেহাই পেতে আদালতে একটি হলফনাফা জমা দিয়েছিলেন ইমরান খান। এতে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান। পরে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে এ রায় দিয়েছেন।
পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের দাবিতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বার বার সমাবেশ করছে পিটিআই।
দলটির প্রধান ইমরান খান বার বার জোর দিয়ে বলেছেন যে, শুধুমাত্র আগাম নির্বাচনই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সংকটের অবসান ঘটাতে পারে। তার মতে, সময়মত নির্বাচন হলে দেশ আজ যে অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে তা থেকে রক্ষা পাবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।