ইরানের পুলিশ হেফাজতে মাসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেয়েরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে স্কুলশিক্ষার্থীরাও। স্কুলগামী মেয়েরা তাদের হিজাব খুলে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে। স্কুলের ভেতরের মাঠে ও কয়েকটি শহরের রাস্তায় স্কুলশিক্ষার্থীদের এভাবে অভিনব প্রতিবাদ জানানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিবিসি এসব ভিডিওর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
ইরানে কঠোর পর্দাবিধি লঙ্ঘন করায় গত মাসে মাসা আমিনি নামে এক নারীকে হেফাজতে নেয় নীতি পুলিশ। পুলিশের হেফাজতে মারা যান মাসা। এ ঘটনার প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।
তেহরান থেকে পশ্চিমে কারাজ শহরে স্কুলের মেয়েরা এক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বের করে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত সোমবার পোস্ট করা এক ভিডিও ফুটেজে স্কুলের মেয়েদের চিৎকার করে ধিক্কার জানাতে দেখা গেছে।
ওই শিক্ষা কর্মকর্তার দিকে স্কুলের মেয়েদের খালি পানির বোতল ছুড়ে মারতে দেখা যায়। এর পর ওই শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুলের গেট দিয়ে বের হয়ে যান।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইরানের এক স্কুলের দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। একটিতে দেখা গেছে, স্কুলের এক ছাত্রীকে। তিনি দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা একটি ছবি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন। এবং ছবিটির পেছনে কিছু লেখা রয়েছে, ছবিটি ঘুরিয়ে দেওয়ার ফলে তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
ইরানের প্রতিটি স্কুলঘরে এ দুই নেতার ছবি রাখা বাধ্যতামূলক। ছবি উল্টো করে ঝুলিয়ে দিচ্ছে এক স্কুলছাত্রী। দেখা যাচ্ছে, ছবির উল্টো দিকে কিছু লেখা। ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’। এটিই ভাইরাল হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রসঙ্গত ইরানের ‘নীতি পুলিশ’ মাসা আমিনিকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ‘ভুল প্রথায়’ হিজাব পরেছেন। তিনি তার চুল পুরোপুরি ঢাকেননি। গ্রেফতারের কয়েক দিন পর তার মৃত্যুর খবর আসে। এর প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।