সোমবার একজন মুসলিম শিক্ষার্থী কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন উদুপি সরকারি কলেজের ছয় শিক্ষার্থীকে হিজাব পরে ক্লাসে যেতে বাধা দেয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে। আবেদনে শিক্ষার্থী যুক্তি দিয়েছিলেন যে হিজাব পরা ভারতের সংবিধানের ১৪ ও ২৫ অনুচ্ছেদের অধীনে নিশ্চিত করা একটি মৌলিক অধিকার এবং তার ধর্ম পালনের জন্য এটি অপরিহার্য।
ভারতের কর্ণাটকে হিজাব পরার জন্য ২৭ জন মুসলিম শিক্ষার্থীকে কলেজে প্রবেশ করতে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। যদিও সেখানকার রাজ্য সরকার, প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য অভিন্ন কোনো পোশাকবিধির নির্দেশনা জারি করেনি।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলেজটির শতাধিক শিক্ষার্থী হিজাব পরার অনুমতি দেয়ার বিরুদ্ধে গেরুয়া রঙের শাল পরে বিক্ষোভ করলে কর্তৃপক্ষ স্কুলের পোশাকবিধিতে হিজাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুন্দাপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ যখন ছাত্রীদের ক্লাসে উপস্থিত হতে বলেন, তখনই ছাত্রীদের সঙ্গে অধ্যক্ষের তর্ক শুরু হয়। ছাত্রীদের দাবি, হিজাব নিষিদ্ধের কোনো সরকারি আদেশ নেই।
কলেজটির অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ বলেছেন, তিনি কলেজ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও কুন্দাপুর বিজেপি বিধায়ক হ্যালাডি শ্রীনিবাস শেঠির নির্দেশের ভিত্তিতে এই নির্দেশনা দিয়েছেন। শেঠির নির্দেশনা ছিল, অধ্যক্ষ যাতে নির্ধারিত পোশাকের বাইরে অন্য কোনো ধরনের অতিরিক্ত কিছু পরার অনুমতি না দেয়।
ইতিমধ্যে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে উদুপি সরকারি প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছয়জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার জন্য ক্লাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
হিজাব নিয়ে সৃষ্ট ইস্যু ইতিমধ্যে আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে।
সোমবার একজন মুসলিম শিক্ষার্থী কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন উদুপি সরকারি কলেজের ছয় শিক্ষার্থীকে হিজাব পরে ক্লাসে যেতে বাধা দেয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে।
আবেদনে শিক্ষার্থী যুক্তি দিয়েছিলেন যে হিজাব পরা ভারতের সংবিধানের ১৪ ও ২৫ অনুচ্ছেদের অধীনে নিশ্চিত করা একটি মৌলিক অধিকার এবং তার ধর্ম পালনের জন্য এটি অপরিহার্য।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।