পাকিস্তানের আদালতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সকালে পেশোয়ার হাইকোর্টের বার রুমে সিনিয়র আইনজীবী ও পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট লতিফ আফ্রিদিকে হত্যা করা হয়।
ডনের খবের বলা হয়, ৭৯ বছর বয়সী আবদুল লতিফ আফ্রিদি পাকিস্তানে আইনজীবীদের আন্দোলনের সামনে থাকা এক ব্যক্তিত্ব।
সংবাদমাধ্যম বলছে, গুলিবিদ্ধ আবদুল লতিফকে পেশোয়ার লেডি রিডিং হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের মুখপাত্র মুহাম্মদ অসিম জানান, চিকিৎসা দেওয়ার সময় তিনি মারা গেছেন। লতিফ আফ্রিদিকে ছয়টি গুলি করা হয়েছিল।
পেশোয়ারের এসপি কাশিফ আব্বাসী জানান, সকালের দিকে বার কক্ষে বসে থাকার সময় একজন অস্ত্রধারী সেখানে প্রবেশ করে তার দিকে গুলি চালাতে করে। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত আদনান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে একটি ছোট অস্ত্র, পরিচয়পত্র এবং একটি স্টুডেন্ট কার্ড উদ্ধার করা হয়। এসপি আব্বাসী আরও বলেন, পুলিশ সন্দেহ করছে ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এই হামলা করে থাকতে পারে আদনান।
১৯৭৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া-উল-হকের সামরিক আইনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার জন্য আটক হয়েছিলেন আবদুল লতিফ। আফ্রিদির হত্যাকাণ্ডে ‘‘গভীর দুঃখ” প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
এদিকে পেশোয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী জামান আফ্রিদির হত্যার প্রতিবাদে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশ জুড়ে দুই দিনের আদালত বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।