ভারতের দৈনিক করোনা গ্রাফে উদ্বেগ অব্যাহত। শনিবারই আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার পেরিয়েছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অ্যাকটিভ কেস এবং পজিটিভিটি রেট। রোববার আক্রান্তের সংখ্যাটা সামান্য কমলেও অ্যাকটিভ কেস বেড়েই চলেছে। যা বেশ চিন্তার।
রোববার ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৯৯ জন। যা গতকালের থেকে সামান্য কম। এর মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত ৪ হাজারের বেশি। কেরালার অবস্থাও ভয়ানক। রাজধানী দিল্লির অবস্থাও সঙ্কটময়।
রাজধানীতে গত ৪ দিন পরপর হাজারের বেশি মানুষ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে ভারতে করোনার অ্যাকটিভ কেস ৭২ হাজার ৪৭৪ জন। যা গতকালের থেকে ৪ হাজার ৩৬৬ জন বেশি। দেশে অ্যাকটিভ কেসের ০.১৭ শতাংশে পৌঁছেছে। দৈনিক পজিটিভিটি রেট বাড়তে বাড়তে পৌঁছেছে আড়াই শতাংশের কাছাকাছি।
রিপোর্ট বলছে, এক দিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই সংখ্যাটাই খানিকটা স্বস্তির। দেশে এখনো পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ৮৫৫ জন। করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি সুস্থতার হারও চিন্তাজনক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৩ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন মাত্র ৮ হাজার ৫১৮ জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৬২ শতাংশ। তবে সামান্য স্বস্তির খবর হলো করোনার বাড়বাড়ন্ত মোকাবেলায় নতুন অস্ত্র আসছে চিকিৎসকদের হাতে। ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার প্রথম ন্যাজাল ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়েছে বলে সংস্থার দাবি। ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, দ্রুত তাদের ন্যাজাল ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়ে যাবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।