শিক্ষার্থীকে স্কুলের নির্দিষ্ট পোশাক পরতে তো হবেই, সেইসঙ্গে বাবা-মা কোন পোশাক পরে আসবেন স্কুলে, এবার তাও বলে দিল ভারতের আহমেদাবাদের বেশ কয়েকটি স্কুল। ‘শালীন’ পোশাক পরা নিয়ে রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

আহমেদাবাদের ওই স্কুল গুলোর পক্ষ থেকে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে অভিভাবকদের বার্তা পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার সময় ‘অশালীন’ পোশাক পরে আসছেন বহু অভিভাবক। ভবিষ্যতে তা আর চলবে না। এদিকে স্কুলগুলির বিরুদ্ধে নীতিপুলিশির অভিযোগ তুলে গোটা ঘটনায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। বহু বেসরকারি স্কুল শুরু হয় খুব ভোরে। ঘুম থেকে উঠেই সন্তানকে তৈরি করে স্কুলে হাজির হন বাবা-মায়েরা।

সেই সময় অভিভাবকদের অনেকেই ‘অশালীন’ পোশাক পরে স্কুলে হাজির হচ্ছেন বলে অভিযোগ স্কুলগুলির। বলা হচ্ছে, অনেকেই পাজামা, শর্টস, হাতকাটা জামা, স্যান্ডো গেঞ্জির মতো রাত পোশাক পরে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে স্কুলে হাজির হচ্ছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এই ধরনের ঘরের পোশাক বিদ্যালয় চত্বরে কখনই শোভনীয় নয়। এতে ছাত্রছাত্রীদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। সেই কারণেই অভিভাবকদের ‘শালীন’ পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপে এই বিষয়ে অভিভাবকদের বার্তা পাঠিয়েছে স্কুলগুলি।

এদিকে আহমেদাবাদের একাধিক স্কুলের এমন নির্দেশিকায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অভিভাবকরা কেমন পোশাক পরবেন, সেই বিষয়ে স্কুল নাক গলাতে পারে না বলে মত একাংশের। গোটা ঘটনাকে নীতিপুলিশি হিসেবে দেখছেন তারা। তাছাড়া ভোরে ক্লাস শুরু হয় শিশুদের, ফলে তাড়াহুড়োয় বাবা-মা পোশাক বদলের সময় পান না বলে মত কারও কারও। যদিও স্কুলগুলিও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। অভিভাবকদের ‘শালীন’ পোশাক পরেই স্কুলে আসতে হবে, জানিয়ে দিয়েছে তারা।

এই বিষয়ে এক অভিভাবকের বক্তব্য, অনেক সময়েই পোশাক বদলের সময় থাকে না। তাড়াহুড়োয় বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছে দিতে হয়। এখন দেখছি আমার ইনবক্সে ‘শালীন’ পোশাক সম্পর্কে একটি লিখিত বার্তা পাঠিয়েছে স্কুল। অবাক হয়েছি এমন নির্দেশিকা দেখে।