মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। তবে ফিলিস্থিনিদের এবার অন্যরকম ঈদ। করোনার আবহের পাশাপাশি যুদ্ধ, ধ্বংসযজ্ঞ আর ঘর-স্বজন হারানোর বেদনার মধ্যদিয়ে উদযাপিত হচ্ছে তাদের ঈদ। দেশটিতে হামলার তীব্রতা এত বেশি যে, প্রতিমিনিটে ৩০টি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
 
 
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, বিগত কয়েকদিনে গাজায় শতাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। বিগত কয়েকদিনে হামলার ব্যাপকতা এতই ছিল যে, ৬০ সেকেন্ডে ৩০টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে যেকোন সময় পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আশঙ্কা করেছে জাতিসংঘ। গত দুই দিনের বিমান হামলায় ৫ নারী ও ১৬ শিশুসহ ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৬৫ জন।
 
এদিকে জেরুজালেমের বিমান হামলার জবাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে শতাধিক রকেট ছুঁড়েছে হামাস। ইসরায়েল বলছে, হামাস ৬৩০টির বেশি রকেট ফায়ার করেছে। এরমধ্যে ২০০টি আয়রন ডোম মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমে আটকে যায়৷ অন্যদিকে ১৫০টি রকেট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়৷ হামাসের হামলায় ইসরায়েলের সেনাসদস্যসহ এ পর্যন্ত দেশটির ৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
 
আল জাজিরার সাংবাদিক সাফওয়াত আল-কাহলৌত জানিয়েছেন, হামলা-পাল্টা হামলায় প্রায় পুরো গাজা জেগে আছে। বুধবার গভীর রাত পর্যন্তও চলে বোমাবর্ষণ। কিছুক্ষণ পর পর বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে ভবনগুলো।
 
এমনই উৎকণ্ঠা উদ্বেগের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের ঈদ। বৃহস্পতিবার সকালে ঈদুল ফিতর উদযাপনেও তাদের মনে অজানা এক আতঙ্ক আর আশঙ্কা। বিশ্লেষকরা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ একটি যুদ্ধের দিকেই যাচ্ছে পরিস্থিতি।