চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে আফগানিস্তান ছেড়ে গেছে মার্কিন সেনারা কিন্তু রয়ে গেছে অসংখ্য সামরিক উপকরণ। কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন বাহিনীর রেখে যাওয়া এসব সরঞ্জাম ব্যবহার করতে দেখা গেছে তালেবান যোদ্ধাদের। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বার্তাসংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মোট ৭৩টি আকাশযান, প্রায় ১০০ সামরিকযান এবং অন্যান্য সরঞ্জাম কাবুলে ফেলে গেছে মার্কিন বাহিনী। যদিও মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড প্রধান জেনারেল কেনেথ মেকেঞ্জি জানান, ফেলে যাওয়া সেসব ব্যবহারের অনুপযুক্ত বলেই রেখে যাওয়া হয়েছে। “ওসব বিমান আর কখনোই উড়বে না,” জানান তিনি।
মার্কিন বাহিনীর রেখে যাওয়া সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে- • এম ডি-৫৩০ হেলিকপ্টার, যেগুলো মূলত পর্যবেক্ষন ও কাছাকাছি স্থানে আক্রমণে ব্যবহৃত হত। • এ-২৯ হালকা বিমান। আফগান সশস্ত্র বাহিনীর ব্যবহার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৪৩ এম ডি-৫০৩এস, ২৩ এ- ২৯ এস। জুনে আফগান সেনাদের এসব এয়ারক্রাফট দিয়েছিল মার্কিন সেনারা। এসব সরঞ্জামগুলির পৃথক মূল্য নির্ধারণ করা কঠিন হলেও প্রতিটি এ -২৯ এয়ারক্রাফটের দাম ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বলে জানা গেছে। মাইন বিস্ফোরন-প্রতিরোধী ৭০টি যান (এমআরএপিএস) নষ্ট করার পর বাতিল হিসেবে রেখে যাওয়া হয়েছে বলে জেনারেল কেনেথ মেকেঞ্জি।
প্রতিটি এমআরএপিএসের দাম বলা হয়েছে ৫ লাখ ডলার থেকে ১ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত। কাবুলে ফেলে যাওয়া সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে- • ২৭ টি হামভী অল-টেরেইন মিলিটারি যান। • অসংখ্য কাউন্টার রকেট ও আর্টিলারি ডেফেন্স সিস্টেম সরঞ্জাম। এছাড়াও পুনরায় ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব এমন ১৬৭টি এয়ারক্রাফট। এর মধ্যে রয়েছে ৩৩ টি ইউএইচ-৬০ ব্লাক হক হেলিকপ্টার যা জুন মাসে শেষের দিকে মার্কিনিরা আফগান বাহিনীকে দিয়েছিল।
এসবই এখন তালেবানদের হাতে। ২০১৭’র ডিসেম্বর থেকে ২০০০’র এপ্রিলে মধ্যে ২৫০০ টি হামভী মিলিটারি যান এনেছিল মার্কিন বাহিনী। সরঞ্জাম বিশেষজ্ঞরা জানান, ১৬০০০ পিস মার্কিন নাইট ভিশন গগলস রয়েছে তালেবানদের কাছে যা ২০০৩ সাল থেকে ২০২১ সালে মধ্যে আফগান সেনাদের সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। অসংখ্য এম৪ রাইফেল এবং কমপক্ষে ৩,৫৯৮টি এম৪ কারবাইন তালেবানরা পেয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।