চিকিৎসা শাস্ত্রে এ বছর নোবেল পেয়েছেন দুই বিজ্ঞানী। তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড জুলিয়াস এবং লেবাননের আর্ডেম প্যাটোপোশিয়ান। সোমবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশে সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তাপমাত্রা এবং স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য বিশ্বের মর্যাদাবান এ পুরস্কারে ভূষিত হন তারা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বরে বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কারের পদক, সনদ ও অর্থ। তবে করোনা মহামারির কারণে এবার বিজয়ীরা নিজ নিজ দেশে বসেই পুরস্কার গ্রহণ করবেন। চিকিৎসাবিদ্যায় বিশেষ অবদানের জন্য প্রতিবছরই চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ১১৩ জন চিকিৎসা বিজ্ঞানী চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন।
১৮৯৫ সালে সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল যে পাঁচটি ক্ষেত্রে পুরস্কার প্রদানের ব্যাপারে দলিলে উল্লেখ করে গিয়েছিলেন তার মধ্যে এটি অন্যতম। ১৯০১ সাল থেকে নিয়মিত এ পুরস্কারটি দেওয়া হচ্ছে। এবার শান্তিতে নোবেল জয়ের জন্য ৩২৯টি মনোনয়ন দিয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। এর মধ্যে ২৩৪ ব্যক্তি ও ৯৫ প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। তবে কমিটির নিয়ম মেনে এসব নাম গোপন রাখা হয়েছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের নোবেল পদক চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পদকটি অন্য পদকের চেয়ে একটু আলাদা। প্রদত্ত মেডেলের সম্মুখ দিকে থাকে আলফ্রেদ নোবেলের খোদিত ছবি যা পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বা সাহিত্যের জন্য প্রদত্ত মেডেলের মতই।
তবে অন্য পাশটা আলাদা। সেই পাশে মেধাবী এক চিকিৎসকের প্রতিকৃতি দেখা যায়, যে নিজের কোলে রাখা একটি উন্মুক্ত বই ধরে আছে। আর একই সাথে পাথরের বুক চিড়ে প্রবহমান পানি দিয়ে একটি মেয়ে তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা করছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।