তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী আফগানিস্তান দখলে নেওয়া তালেবান। এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির মুখপাত্র সোহাইল শাহীন। তিনি বলেন, ‘মুসলিম হিসেবে আমরা তুরস্ককে ভ্রাতৃত্বের দৃষ্টিতে দেখি।’ আফগানিস্তানের সঙ্গে তুরস্কের গভীর সম্পর্কের কথা পুনরুল্লেখ করে তালেবানের মুখপাত্র বলেন, আমরা তুরস্কের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। আফগানিস্তানে কাজ করা তুরস্কের প্রকৌশলী এবং অন্যরা অনেক অবদান রেখেছেন। আমরা ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী এবং গভীর করতে চাই। তুরস্কের হাবেরলের ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোহাইল শাহীন এসব কথা বলেন।
খবর ডেইলি সাবাহর। তালেবানের মুখপাত্র বলেন, সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো— শিক্ষা, অর্থনীতি পুনর্গঠন ও বিনিয়োগ। তুরস্কের পররাষ্ট্রনীতি শাহীন কীভাবে দেখেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা একে সম্মান করি। প্রতিটি দেশই তার নিজস্ব নীতি প্রণয়নের অধিকার রাখে। তালেবান পারস্পরিক স্বার্থ ও লক্ষ্যে মনোনিবেশ করতে চায়। শাহীন বলেন, তুরস্ক তালেবানের প্রতি যেমন আচরণ করবে, আমরাও প্রতিদানে ঠিক তেমনটাই করব। যদি তুরস্ক তাদের ‘মুসলিম ভাই’ হিসেবে আমাদের দেখে, তবে তালেবান তাদের ক্ষেত্রেও এমন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করবে এবং এ বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাবে। ‘মুসলিম হিসেবে আমরা তুরস্ককে ভ্রাতৃত্বের দৃষ্টিতে দেখি’, যোগ করেন শাহীন।
দীর্ঘ ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। এ প্রক্রিয়ার মধ্যেই তালেবান দেশটির অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা চলে যায় তালেবানের হাতে। এর পর গোষ্ঠীটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।