ভূমিকম্পের প্রায় এক সপ্তাহ পর সাত মাসের শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছেন তুরস্কের উদ্ধারকর্মীরা। দেশটির রাষ্ট্রীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হাতায়ে এলাকার ধংসস্তূপ থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।

দেশটির গাজিআনতেপের আরেকটি ধসে যাওয়া ভবনের নিচ থেকে এসমা সুলতান নামে ১৩ বছর বয়সি এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার। এর আগে হাতায় শহর থেকে ১২২ ঘণ্টা পর দুই বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছিল।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যে তুরস্কে ২৪ হাজার ৬১৭ জন আর সিরিয়ায় সাড়ে চার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

দেশ দুটির সরকারি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।তবে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথের দাবি, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ বা তারও বেশি হতে পারে।

অর্থাৎ ৫০ হাজার ছাড়াতে পারে। তুরস্কের একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, রোববার ভূমিকম্পের ১৪০ ঘণ্টা পরও ধংসস্তূপের নিচ থেকে সাত মাসের একটি শিশু জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাজিআনতেপ শহরের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৩ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।

দেশ দুটিতে এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা আটকে আছেন। তাদের উদ্ধারে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে দুর্ঘটনার একশ ঘণ্টা পার হওয়ার এখন কারও বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে এসেছে।