ভারতে এক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় ‘পঙ্খীরাজ’ প্রজাতির সাপ পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, এটি ছিল প্রায় সাত ফুট লম্বা। সাপটিকে উদ্ধার করে বনকর্মীদের হাতে তুলে দেন স্থানীয় এক সর্প বিশেষজ্ঞ। পরে বনকর্মীরা সাপটিকে ছেড়ে দিয়ে আসেন জঙ্গলে। বৃহস্পতিবার (২০ মে) এ খবর দিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জলার মাগুরমারি এসপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুল ছুটি থাকায় পাড়ার শিশুরা স্কুলের বারান্দাতে খেলছিল। হঠাৎ তাদের চোখে পড়ে শ্রেণিকক্ষের দরজার ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে একটি সাপ। ভয়ে চিৎকার জুড়ে দেয় শিশুরা। তাদের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে এসে দেখেন প্রায় ৭ ফুট লম্বা অদ্ভুত দেখতে একটি সাপ ভিতর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেছে।
খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ির পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ‘ডুয়ার্স নেচার অ্যান্ড স্নেক লাভার অর্গানাইজেশন’কে। খবর পেয়ে সর্প বিশেষজ্ঞ মিন্টু চৌধুরী গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করেন। সাপটিকে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেটিকে মোরাঘাট জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, ‘মাগুরমারি এলাকায় একটি প্রাথমিক স্কুলের ক্লাসরুমের ভিতরে ‘পঙ্খীরাজ’ সাপটি ছিল। সেখান থেকে গ্রামবাসীরা ফোন করেছিলেন আমাদের। সর্প বিশেষজ্ঞ মিন্টু চৌধুরী সেখানে গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করে আমাদের হাতে তুলে দেন। সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ তবে সাপটি কী করে স্কুলের ভিতরে এল তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন গ্রামবাসীরা। প্রাথমিক অনুমান, কয়েক কিলোমিটার দূরে সোনাখালি জঙ্গল থেকে সাপটি নদী পেরিয়ে গ্রামে চলে এসেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।