দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পর্যটন নির্ভর দেশ গুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া অন্যতম।প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পর্যটক আসেন মালয়েশিয়া।

প্রায় দুই বছর করোনা মহামারী কারনে বন্ধ থাকা পর্যটন কেন্দ্র গুলো খুলে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালয়েশিয়া সরকার। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সকল পর্যটন কেন্দ্র গুলো ঢেলে সাজিয়ে দেওয়ার হবে দেশী ও আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য। সাম্প্রতিক এমনই জানান মালয়েশিয়ার পর্যটন মন্ত্রী ন্যান্সি।

সরকারের নিদর্শনা অনুযায়ী পর্যটন কেন্দ্র সংস্কার, কোভিট পরিস্থিতি মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্য বিধি মানার উপর গুলো দেওয়া হবে বলে জানান, পর্যটন কেন্দ্র দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি অফিসার।
এছাড়াও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য আরো বেশি ডিজিটাল সিসিটিভির স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে করোনার আগে ২০১৯ সালে পর্যটন খাত থেকে আয় হয়েছিলো ২৪ হাজার ২ কোটি রিঙ্গিত, যা দেশটির জিডিপির মোট ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

প্রকৃতিক সৌন্দর্যর দেশ মালয়েশিয়া যে দিকে চোখ যার উঁচু উঁচু পাহাড়, সবুজ গাছ ও সমুদ্রের সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
প্রকৃতিক সৌন্দর্য বাহিরেও পর্যটকদের আকর্ষণ ও বিনোদনের জন্য গড়ে তুলা হচ্ছে নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে রয়েছে পর্যটন কেন্দ্র এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাজধানী কুয়ালালামপুরে প্যাটনাস টুইনটাওয়ার, বুকিত বিন্তাং, মারদেকা, পুত্রাজায়ায়, গেন্তিং হাইল্যান্ড।

পর্যটকদের সমুদ্র উপভোগ করার জন্য যেতে হয় লংকাউই ও পেনাং রাজ্য।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার আন্দমান সাগরে ২০৪ দ্বিপ নিয়ে গঠিত লংকাউই দ্বীপমালা স্থানীয় পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু মাত্র দুই ডোজ টিকা নেওয়া ব্যাক্তিদের জন্য দেওয়া হয়েছে এই অনুমতি বলে জানান মালয়েশিয়ার ট্যুরিজম প্রেমোশন বোর্ড।

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পর্যটকদের জন্য আধুনিক থাকবার ব্যবস্তা ও রাতের বিনোদন নাইট ক্লাব গুলো সংস্কারের কাজ গুলো চলছে খুব জোরেসোরে।
আবাসিক হোটেল মালিক গুলো নিজের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও মুনাফার জন্য বিভিন্ন অফার সহ সুযোগ সুবিধা নিয়ে আচ্ছে।

মালয়েশিয়ার পর্যটন কেন্দ্র পুরোপুরি ভাবে চালু হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে অনেক বাংলাদেশী প্রবাসীদের যা বাংলাদেশের জিডিপিতে শক্তিশালি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন মালয়েশিয়া বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা।