তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসার পর আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী দেশটিতে সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে। উপরন্তু আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৯ বিলিয়ন ডলার জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে দেশটিতে চরম অর্থনেতিক সংকট বিরাজ করছে।

আফগানিস্তানে মানুষ পরিবারের ভরণ-পোষণে কিডনি বিক্রি করছে এমন তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে। এবার পাঁচ সন্তানকে খাওয়াতে এক নারীর কঠিন সংগ্রামের খবর প্রকাশ্যে আসল।

সন্তানদের খাওয়াতে অর্থ উপাজার্নে এই নারী বাজার থেকে ঠেলাগাড়িতে করে বাসাবাড়িতে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সোসান নামে এই নারীর স্বামী এক বছরের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ। পাঁচ সন্তানকে লালনপালন করছেন তিনি একাই।

এই নারী জানান, এক বাজার থেকে অন্য বাজারে গিয়ে ঠেলাগাড়িতে করে তিনি বিভিন্ন মানুষকে তাদের বাড়িতে পণ্য পৌঁছে দেন। তিনি বলেন, অন্যদের দেখে সন্তানরা আমার কাছে আক্ষেপ করে; এটা আমাকে ব্যথিত করে!

তালেবান বালখ প্রদেশ দখল করে নেওয়ার পর সুসান রাজধানী শহরে কাবুলে চলে আসেন। তিনি পাকিস্তান যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু সীমান্ত পার হতে পারেননি। কারণ, বালখ দখলের পরপরই তালেবান কাবুল দখল করে নেয়।

এই নারী জানান, তার তিন সন্তান খুবই অসুস্থ। কিন্তু তাদেরকে তিনি চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তিনি বলেন, সন্তানদের একজন মানসিক সমস্যায় ভুগছে। আরেকজন খুব অসুস্থ। আরেকজনের গলায় সমস্যা।

এই নারীর ৭ বছরের মেয়ে নার্গিস বলেন, আমাদের স্কুলের ইউনিফর্ম নেই, বই নেই। স্কুলে যেতে মাকে আমাদের এগুলো অবশ্যই কিনে দিতে হবে।

সুসানের ৯ বছরের ছেলে ভাগাড় থেকে বোতল সংগ্রহ করে বাড়িতে আনেন। সেগুলো জ্বালিয়ে তীব্র শীতে ঘর গরম রাখার চেষ্টা করা হয়।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ৯৫ শতাংশ আফগান উপবাসের ঝুঁকিতে রয়েছে।

 

কলমকথা/ বিথী