সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে নিজ বাড়িতে চিড়িয়াখানা বানিয়ে গ্রেপ্তার হলেন পশুপ্রেমী এক নারী। ৫১ বছর বয়সী ওই নারীর নাম কারিন কিজ। নিজেকে একজন সমাজকর্মী এবং পশুপ্রেমী হিসেবে দাবি করেন।
তবে ইউএসএ টুডের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জোর করে পশুপাখিদের আটকে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় কারিনকে।
গত মঙ্গলবার (১৮ তারিখ) তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ১ লাখ তেলাপোকা, ১১৮টি খরগোশ, নানা প্রজাতির দেড়শো পাখি, ৭টি কচ্ছপ, ৩টি সাপ ও ১৫টি বিড়াল উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, পশুপাখি, কীটপতঙ্গদের অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রেখেছিলেন কারিন।
বাড়িময় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল তাদের মলমূত্র। উদ্ধারকারীরা কারিনের বাড়িতে দুর্গন্ধে বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি বলেও দাবি করেছেন।
তাদের বিশেষ পোশাক পরে ওই বাড়িতে ঢুকতে হয়েছিল। ওই নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘনিষ্ঠ মহলে কারিন ‘স্নো হোয়াইট’ নামে পরিচিত। পশুপাখি, কীটপতঙ্গদের নিয়ে থাকতেই পছন্দ করেন তিনি। তাদের ছাড়া থাকতে পারেন না।
কোথা থেকে এত পশুপাখি তিনি সংগ্রহ করলেন, তা-ও জানা গেছে। তার বাড়ির কাছেই একটি পশু সংগ্রহশালা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন কারিন।
পশুপাখিগুলো যাতে ‘ঘরছাড়া’ না হয়ে যায়, তাই তাদের আশ্রয় দেন তিনি। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, উদ্ধার করা পশুপাখিগুলোকে বাঁচানো যাবে।
তবে যে পরিবেশে তাদের রাখা হয়েছিল, সেখানে আর বেশি দিন থাকলে মৃত্যু হতে পারত এদের। প্রাণীর বেঁচে থাকার উপযোগী পরিবেশ কারিনের বাড়িতে ছিল না বলে অভিযোগ। কারিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে তার জেল হতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইউএসএ টুডে
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।