মনিরামপুর প্রতিনিধিঃ মণিরামপুরের পাতন জুড়ানপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বিধি বর্হিভুত ভাবে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল করতে হাইকোর্টে রীট পিটিশন করা হয়েছে। নীতিমালার তোয়াক্কা না করে দুইজন সিনিয়র শিক্ষককে ডিঙিয়ে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করায় এ নিয়োগ বোর্ড বাতিল চেয়ে রীট করা হয়েছে।

জানা যায়, মণিরামপুর পৌর এলাকার পাতন জুড়ানপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ভড়িরথ মোড়ল অবসর নিলে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক পদ শুন্য হয়। এরপর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে। এরপর নিয়মিত পরিচালনা কমিটির এক সভায় নিয়মিত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। পরবর্তীতে চলতি বছরের ২১ মে শুন্য পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর কিছুদিন পর ম্যানেজিং কমিটির মৌখিক আদেশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদ হতে অব্যহতি নেন। এরপর বিদ্যালয়ের জৈষ্ঠ শিক্ষক শিল্পী রানী দাসকে উপেক্ষা করে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র শিক্ষক ইব্রাহীম হোসেনেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে দ্বায়িত্ব দিয়ে নিয়মিত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এক প্রকার তড়িঘড়ি করেই ৩০ জুন স্থানীয় সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে সেলিনা খাতুন নামের একজনের নিয়োগ চুড়ান্ত করে। পরবর্তীতে জুলাই মাসের ১৯ তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তাকে নিয়োগপত্র প্রদান করলে তিনি ২১ জুলাই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।

বিধি বর্হিভুত ভাবে এ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করতে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সেলিনা খাতুন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন। পরবর্তীতে তিনি অনিয়ম, দূর্ণীতি ও বিধি বর্হিভুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করতে হাইকোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করেন। যার রীট পিটিশন নং ১১৭৬৫/২২।

এতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং নিয়ম বর্হিভুত ভাবে নিয়োগকৃত প্রধান শিক্ষককে বিবাদী করা হয়েছে। এ বিষয়য়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ার দ্বায়ভার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির। মহাপরিচালক বরাবর অনিয়মের একটা অভিযোগের কপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, বিষয়টা তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রীটের বিষয়টা মহামান্য আদালতের নির্দেশে মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।