দৈনন্দিন ব্যস্ততায় সুযোগই করে উঠতে পারেন না আপনার ভালবাসা প্রকাশ করার। সারাদিনের কাজের পর ক্লান্তির কারণে, প্রেমের মিলনও ইদানিং অনেকটা কমে গিয়েছে! উপরের এসব যদি আপনার ক্ষেত্রে খেটে যায়, তাহলে এখনই সময় প্রেমকে রিচার্জ করুন। না হলে কিন্তু প্রিয় মানুষের সঙ্গে সমস্যা বাড়তে পারে। আর এক্ষেত্রে অবশ্যই নজর রাখুন প্রাচীন শাস্ত্র কামসূত্রে।
ব্যাপারটা একটু বিশদে বলা যাক। কামসূত্র অনুযায়ী, শরীরী মিলন শুরু করা উচিত ঠোঁট থেকেই। কারণ, ঠোঁটের মাধ্যমেই প্রিয় মানুষের সবচেয়ে কাছে যাওয়ার সুযোগ মেলে। এই শাস্ত্রমতে, চুম্বন (Kiss) একদিকে যেমন শরীরে শিহরণ জাগাতে সাহায্য করে তেমনি, কেয়ারিং মনোভাবের প্রকাশ করতে সাহায্য। তাই কামসূত্র মতে, শরীরী মিলনের শুরুতে চুমু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কামসূত্রতে মোট ২৫০ টি চুমুর কথা বলা হয়েছে। তবে এর মধ্যে প্রথম তিনটিই শরীরী মিলনের শুরুতে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে।
১) ব্রাশিং কিশ-
এটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। বহু বলিউড ছবিতে এধরনের চুমু দেখা যায়। যেখানে নায়িকা, নায়কের ঠোঁটে নিজের ঠোঁটকে মিলিয়ে দেন। আর এই সময় চোখ বন্ধ থাকে দু’জনের। তারপর পুরুষসঙ্গীটি, মহিলার ঠোঁটকে আলতো করে নিজের ঠোঁটের মধ্যে ঢুকিয়ে নেন জিভের চাপে। একেই বলে থ্রোবিং কিশ।
২) থ্রোবিং কিশ-
এই ধরনের চুমুতে পুরুষের তুলনায়, মহিলার অংশগ্রহণ বেশি থাকে। এক্ষেত্রে পুরুষের ঠোঁটে, মহিলা তাঁর ঠোঁট দিয়ে একটু চাপ প্রয়োগ করে, পুরুষের ঠোঁটকে নিজের মুখের মধ্যে টেনে নেন।
৩) মেজারড কিশ-
এই ধরনের চুমুর ক্ষেত্রে সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ কতক্ষণ ধরে ঠোঁটে, ঠোঁট রাখছেন সেটাই আসলে মেপে দেখার। এই চুমুতে জিভের ব্যবহার খুবই প্রয়োজনীও। ঠোঁটে ঠোঁট রেখে, দুজনের জিভ এক্ষেত্রে খেলা করবে।
এসব চুমুর বাইরেও রয়েছে কর্ণ চুম্বন, কপাল চুম্বন, নাসিকা চুম্বন এবং বিশেষ করে নেত্র চুম্বন। যা কিনা আলতো প্রেম থেকে প্রেমে ঝড় তুলতে সাহায্য করবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।