স্বাস্থ্য ডেস্ক: অনেকে মিষ্টি একটু বেশিই পছন্দ করেন। আবার এমন কিছু মানুষ আছেন যারা মিষ্টি এবং মদ দুটোই ভালোবাসেন। যারা এই দুটো জিনিসের প্রতিই আসক্ত তারা কিন্তু নিজেরাই নিজের ক্ষতি করছেন। এ বিষয়ে ভারতের আইএলএস হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দিয়েছেন। আরটিভি
এবার তাহলে এই ডাক্তারের পরামর্শগুলো জেনে নেয়া যাক-
শর্করায় সাবধান : অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে লিভারের উপর এর প্রভাব পড়ে। কারণ হল শর্করা জাতীয় খাবারগুলোর মধ্যে ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ (যে সব খাবারে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ ৫০/৫০ থাকে) সব থেকে বেশি ক্ষতিকর। বিভিন্ন রকম শর্করার মধ্যে শুধু ফ্রুক্টোজের প্রভাবই লিভারে পড়ে। এ থেকে লিভারে ফ্যাট তৈরি হয়। ফলে লিভারে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। সেখান থেকে স্টিয়াটোহেপাটাইটিস এবং এ থেকে সিরোসিস অব লিভার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হলে লিভারের সমস্যার বাইরেও ডায়াবেটিস, ওবেসিটিও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মদ বিষাক্ত : অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড, মাংসপেশি ও স্নায়ুর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভারজনিত যাদের সমস্যা রয়েছে তাদের যদি মদ পানের অভ্যাস থাকে তাহলে হার্ট, কিডনির জন্য খুবই ক্ষতিকর। আবার যারা অন্য অসুস্থতার জন্য লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য যে কোনও পরিমাণ অ্যালকোহলই ক্ষতিকর। সিরোসিসের জন্য লিভার ক্যানসার বা লিভার ফেলিওর হতে পারে। এতে করে খাদ্যনালীতে ব্লেডিং, কিডনি ফেলিওর মতো সমস্যাও হতে পারে। ফলে অকাল মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এদিকে যারা মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার খান আবার মাদকাসক্ত তাদের এই ক্ষতির পরিমাণ আরও দ্বিগুণ। কারণ শর্করা যেমন লিভারে ‘মেটাবলাইজ’ হয়ে ফ্যাটে রূপ নেয় তেমন মদও। ফলে দুইয়ের প্রভাবে লিভারের ক্ষতি বেশি। সেই সঙ্গে কার্ডিয়াকের সিস্টেমের উপরও এর প্রভাব পড়ে। মদ পানে অভ্যস্তদের এই পথ থেকে দূরে আসার জন্য পারিবারিক পরস্পর সহায়তা প্রয়োজন এবং এমন কেউ অসুস্থ হলে তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ করা উচিত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।