শীত আসি আসি করছে। এরইমধ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে অনেক রোগে শোকে ভুগছে মানুষ। বিশেষ করে ঠাণ্ডা,কাশি, জ্বরে ভুগছে অনেকে। আর এই ঠাণ্ডা কমাতে ঘরোয়া অনেক টোটকা ব্যবহার করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু কফের চিকিৎসায় আনারসের রসের ভূমিকার কথা অনেকেই জানেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রচলিত ধারণা আছে ঠাণ্ডা লাগলে জুস খাওয়া যাবে না। কিন্তু ঠাণ্ডা লাগলে কফ দূর করতে সাহায্য করে আনারসের জুস। আনারসের রসে ব্রোমেলিয়ান নামক একটি এনজাইম রয়েছে যা সর্দি-কাশির সময় শরীর থেকে কফ দূর করতে সাহায্য করে। ঠাণ্ডা লাগলে টানা কয়েকদিন আনারসের রস খেলে উপকার পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন:
পুষ্টিবিদ কবিতা দেবগান আনারস ও ঠাণ্ডার সম্পর্ক তুলে ধরেছেন। আনারসের জুসে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে যা শ্বাসতন্ত্রের জন্য অনেক ভালো। আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আনারস অনুনাসিক গহ্বরের প্রদাহ দূর করে এবং শ্বাসযন্ত্র থেকে অত্যধিক শ্লেষ্মা অপসারণ করে। এতে করে সর্দি –কাশি দূর হয়,
সেই সাথে ব্রঙ্কাইটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আনারসের উপকারিতা:
১.আনারসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এজন্য অসুস্থ হলে আনারস খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
২. শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে আনারস। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল ও এনজাইম রয়েছে।
৩.আনারসে ভিটামিন সি থাকায় আমাদের চোখ ভালো থাকে। সেই সাথে ত্বক ভালো রাখতেও সাহায্য করে।
আনারস নিয়ে ভুল ধারণা: অনেক ভাবেন আনারস বেশি মিষ্টি হওয়ার কারণে অনেক বেশি ক্যালোরি থাকে। কিন্তু ২৫০ গ্রাম আনারসে মাত্র ১২৫ ক্যালোরি থাকে।
আর এতে গ্লাইকেমিক ইনডেক্স ৬৬। আনারসে ফাইবারের পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। কাশি-সর্দি সারাতে এজন্য আনারসের রসের উপর ভরসা করুন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।