কী কারণে কামোত্তেজনা কমে?
এর প্রধান কারণ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এছাড়াও শরীরের ক্লান্তি, অবসাদ, হরমোনের পরিবর্তন, স্ট্রেস, উদ্বেগ, সম্পর্ক এবং সবচেয়ে বড় ডায়াবিটিক নিউরোপ্যাথি। ডায়াবিটিক নিউরোপ্যাথি হল একধরনের স্নায়ুর ক্ষতি। এর ফলে যৌনাঙ্গ অসাড় হয়ে পড়ে, ব্যথা হয় কিংবা অনুভূতিহীন হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় জোর করে সঙ্গম করতে গেলে ভয়ানক কষ্ট হয়।
পুরুষের সমস্যা টাইপ টু ডায়াবিটিসে আক্রান্ত পুরুষরা প্রধাণত যৌনাঙ্গে অসাড়তা এবং অনুভূতিহীনতার শিকার হন। বারবার চেষ্টা করেও সমস্যার সমাধান হয় না। ফলে অবসাদ চলে আসে। এর জন্য প্রয়োজন যথাযথ চিকিৎসা। সাধারণত দেখা যায় যে যৌনাঙ্গের অসাঢ়তার কারণেই পুরুষরা চিকিৎসকের কাছে যান। তখনই পরীক্ষায় ধরা পড়ে যে তিনি ডায়াবিটিস টাইপ টু-তে আক্রান্ত। প্রধানত এই রোগের কারণেই যৌনাঙ্গের স্নায়ু, মাংসপেশী অথবা সংবহনতন্ত্র দুর্বল হযে পড়ে। আবার অনেক সময় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও এই সমস্যা দেখা দেয়। টাইপ টু ডায়াবিটিসের কারণে ওবেসিটি, উচ্চ রক্তচাপ, অবসাদ, আত্মবিশাসের অভাব, উদ্বেগ, শারীরিক কাজ কম করা, ইজ্যাকিউলেশন কমে যাওয়ার কারণেও এই সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময়ই দেখা যায় যে শুক্রাণু যৌনাঙ্গের পরিবর্তে মূত্রনালীতে চলে যায়। এককথায় গ্লুকোজের মাত্রা অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে যৌনাঙ্গ এবং সংলগ্ন এলাকার মাংসপেশীগুলি সঠিকভাবে কাজ করে না।
মহিলাদের সমস্যা টাইপ টু ডায়াবিটিসে আকত্রান্ত মহিলাদের প্রধান সমস্যা যোনিপথ শুষ্ক হয়ে যাওয়া। প্রধাণত হরমোনের পরিবর্তন অথবা রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারমে এই সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি মহিলাদের মধ্যে ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতাো অত্যাধিক হারে বেড়ে যায়। এর ফলে যৌন সঙ্গমের সময় কষ্ট হয়। যৌনিদ্বারে ভয়ানক ব্যাথা হয়। যৌনতায় বাধা এবং সমাধান সঙ্গীদের মধ্যে একজনও যদি টাইপ টু ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হন তাহলে দাম্পত্যজীবনে একরকম অভিশাপ নেমে। তবে এতে ভয় পাওয়ার বা চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এরও চিকিৎসা আছে। সংযমী জীবনযাপন, সঠিক ওষুধ এবং চিকিৎসা একে নির্মূল করতে পারে। প্রয়োজন অপর সঙ্গীর সহানুভূতি এবং ধৈর্য্য। আপনি নন, টাকাই প্রথম পছন্দ সঙ্গীর! যেভাবে বুঝবেন… বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ যে রাত হলেই যৌনসঙ্গম লিপ্ত হতে হবে এর কোনও মানে নেই। অনেক সময় সারাদিনের ক্লান্তি, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে রাতে শরীর শ্রান্ত হয়ে পড়ে। তার চেয়ে দিনের যে কোনও সময় দুজনের মিলনের জন্য বেছে নিতে পারেন। অর্থাৎ যে সময় শরীরে কামোত্তেজনা দেখা দিচ্ছে তখনই মিলিত হন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো সময় ভোরবেলা। কারণ ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরের এনার্জি লেভেল অনেক বেশি থাকে। যোনিদ্বারের শুষ্কতা কাটাতে লুব্রিকেশন ব্যবহার করা যায়। যেটি ওয়াটার বেস হলে সবচেয়ে ভালো। ক্লান্তি কমাতেও ডাক্তারের কথা মেনে চলুন। পুরুষের যৌনাঙ্গের অসাড়তাও কমবে সঠিক চিকিৎসায়।ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চিকিৎসকে খোলাখুলি প্রশ্ন করুন।
যৌন উত্তেজনা কমে গেলে হতাশ হবেন না বা লজ্জা পাবেন না। বরং সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলিভাবে কথা বলুন। সঙ্গী হিসেবে একে অপরের পাশে থাকুন। রোগ, সমস্যা, দুর্ঘটনা যাই হোক না কেন একসঙ্গে থাকলে সবকিছুর সঙ্গে মোকাবিলা করা যায় সহজেই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।