শিশুরা মুখোরোচক খাবার খেতে পছন্দ করে। চকোলেট, আইসক্রিম বেশি খেয়ে অনেক শিশু দাঁতের বারোটা বাজিয়ে ফেলে। দাঁত ব্যথা করে, কখনও আবার দাঁত বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে।
এসব যন্ত্রণা এড়াতে শিশুদের দাঁত ও মাড়ির যত্নে করণীয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী। তিনি বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ। শিশুর ছয় মাস বয়সে যে দুধ দাঁত গজায়, তারও প্রয়োজন হয় বিশেষ যত্ন। তাই রাতে দুধ খাওয়ানো শেষ হলে পাতলা ফ্লানেলের কাপড় অথবা তুলা দিয়ে ছোট্ট শিশুর দাঁতের ওপর থেকে দুধের আবরণ পরিষ্কার করে দিতে হয়।
শিশুদের বেশিরভাগ দাঁতব্যথার কারণ মাড়ির প্রদাহ ও ডেন্টাল ক্যারিজ। দাঁতে পোকা বলতে কিছু নেই। শিশুকে নিয়মিত দুই বেলা দাঁত পরিষ্কার করা, আঠালো চিনিযুক্ত যে কোনো খাবার (যেমন ক্যান্ডি, চকোলেট, চুইংগাম) খাওয়ার পর দাঁত পরিষ্কার করা শেখাতে হবে। শিশুদের জন্য প্রয়োজন তাদের বয়স উপযোগী ব্রাশ ও টুথপেস্ট। ৬ মাস থেকে ৪ বছর বয়সি শিশুর দুধ দাঁতের যত্নে ফ্লুওরাইডবিহীন টুথপেস্ট প্রয়োজন। লক্ষ্য রাখতে হবে এ সময় দাঁতগুলো সঠিক জায়গায় আছে কিনা, তা না হলে দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মা ও পরিবারের সবার উচিত শিশুর সামনেই দাঁত ব্রাশ করা। শিশুরা অনুকরণপ্রিয় এবং শিশুরা যত দিন পর্যন্ত নিজেরা ব্রাশ করতে না শিখে, তাদের হাতে ধরে ব্রাশ করিয়ে দিতে হবে। ৫-১২ বছর বয়সি শিশুদের জন্য বাজারে আছে ব্যালেন্সড ফ্লুওরাইড টুথপেস্ট। টুথপেস্ট কেনার সময় ব্যালেন্সড ফ্লুওরাইড আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নেবেন। বয়সভেদে বাজারে রয়েছে তিন ধরনের টুথপেস্ট।
.যেখানে ০ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রয়োজন জিরো ফ্লুওরাইড, ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের দাঁতের জন্য প্রয়োজন ব্যালেন্সড ফ্লুওরাইড (৫০০ থেকে ৬০০ পিপিএম) এবং বড়দের জন্য ফ্লুওরাইড প্রয়োজন ১০০০ পিপিএম।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।