সন্তানের বয়স বাড়লেও অভিভাবকের কাছে তারা সব সময়েই দুধে-ভাতে। বয়স বাড়লেও তাঁরা মনে করেন, নিজের দায়িত্ব নিতে পারা বা নিজের কাজ নিজে করার মতো বড় নাকি তারা হয়নি। তাই সন্তান যত দিন নিজের কাছে থাকে, তত দিন তার সবটুকু নিজে হাতে করিয়ে দিতে চান বাবা-মায়েরা।

আপাতভাবে দেখতে ভাল লাগলেও পরবর্তীকালে এই অভ্যাসগুলিই যে তার জীবনে বিপদ ডেকে আনবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই জীবনে সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলার মতো ক্ষমতা ছোট থেকেই সন্তানের মধ্যে লালন করতে হবে।

আচরণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া

‘আপনার ব্যবহারই আপনার পরিচয়’— এ কথা একেবারে ছোট থেকেই মাথায় গেঁথে দিন। ব্যক্তিগত জীবনে আপনি যেমনই হন, মানুষ হিসেবে আপনি কেমন বাইরে থেকে সেটিই আগে বিচার্য। পড়াশোনায় ভাল হয়েও যদি কারও ব্যবহার খারাপ হয়, সে ক্ষেত্রে সাফল্য অধরাই থেকে যাবে।

সময়ের গুরুত্ব বোঝা

সময় মূল্যবান। সন্তান কখন কোন কাজ করবে, অভিভাবক হিসাবে তা আপনি ঠিক করে দিতেই পারেন। কিন্তু সব সময়ে তো আপনি পাশে থাকবেন না। তাই কোন কাজে কতটুকু সময় ব্যয় করতে হবে, সে শিক্ষা দিতে হবে আপনাকেই। অযথা সময় যেন নষ্ট না হয়, সেই পাঠও দিতে হবে।

রপ্ত করার ক্ষমতা

জীবনে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন রকম পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হয়। এক দিন হঠাৎ সমস্যায় পড়লে বাল্বের মতো বুদ্ধি উদয় হয়ে যাবে, এমন আশা করা অন্যায়। চটজলদি যে কোনও পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে গেলে ছোটখাটো কিছু বিষয়ে ছোট থেকেই রপ্ত করতে পারলে ভাল।

শরীরচর্চা করতে শেখা

সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি হল নিরোগ শরীর। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলা সমস্যাগুলির সঙ্গে এঁটে উঠতে গেলে শারীরিক ভাবে শক্তিশালী হতে হবে। তাই ছোট থেকেই শরীরচর্চা করানোর অভ্যাস করাতে পারলে কাছে ঘেষবে না রোগবালাই।

রান্না করতে শেখাe

প্রয়োজন না থাকলেও শিশুদের ছোট ছোট কিছু খাবার বানাতে শেখানো জরুরি। কোনও সময়ে যদি বাইরে পড়তে গিয়ে একা থাকতে হয় তখন অসুবিধে হতেই পারে। কিছু কিছু রান্না ছোট থেকেই জানা থাকলে তারা নিজেই নিজের দায়িত্ব নিতে শেখে।