অনেকেই আছেন যারা শাক খেতে খুব একটা পছন্দ করেন না। অথচ আপনি কি জানেন খুব দামি খাবারের মাঝে প্রতিনিয়ত যে পুষ্টিগুণ খুঁজে বেড়াচ্ছেন, কেবল একটুখানি সরিষা শাকেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন তার সব কিছু।
শুধু শাক হিসেবেই নয়, বরং কুচি কুচি করে বিভিন্ন তরকারির বা সালাদের সাথে মিশিয়ে নিলেও এটি দারুণ স্বাদ বাড়ানোর কাজ করে। এর সবচেয়ে বড় গুণ হলো, এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দিতে ভূমিকা রাখে।
শুধু তাই নয় এই খুব সস্তা খাবারটির পুষ্টিগুণ মোটেই সস্তা নয়। আর এগুলো জানবার পরে আপনি নিশ্চয়ই এটি না খেয়ে থাকতেই চাইবেন না। এই শাক কেবল সুস্বাদুই নয়, সেইসঙ্গে নানা ধরনের পুষ্টিগুণেও ভরা। এতে ক্যালোরি থাকে খুব কম, ভিটামিন ও খনিজ থাকে পর্যাপ্ত। সরিষা শাক খেলে পাবেন বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। চলুন
জেনে নেওয়া যাক-
‘শীতের সময়ে বাজারে প্রচুর সবুজ শাক-সবজি পাওয়া যায়। সরিষা শাক একটি নিরামিষ খাবার যা অনেকভাবেই খাওয়া যায়। এটি অন্যান্য শাক যেমন বথুয়া, পালং, মুলা ইত্যাদি শাকের সঙ্গেও মিশিয়ে রান্না করা যায়।’ রিধিমা বাত্রা তার পোস্টে এভাবেই লেখেন।
সরিষা শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে
পুষ্টিবিদরা জানান, ‘পর্যাপ্ত পুষ্টি পেতে চাইলে সরিষা শাক খেতে পারেন। এই শাকে ক্যালোরি কম থাকে। এদিকে ফাইবার এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে পর্যাপ্ত। সরিষা শাক ভিটামিন কে, এ এবং সি- তিনটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস।
এই শাকে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন ই এবং ফোলেটও। এসব উপাদান একসঙ্গে শরীরের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে হার্টের সমস্যা, অ্যাজমা কিংবা মেনোপজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে এটি বেশি উপকারী। এই শাকে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মূখ্য ভূমিকা রাখে।’
◾দীর্ঘস্থায়ী অসুখ প্রতিরোধ করে :
সরিষা শাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ও অন্যান্য অসুখের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। তাই দীর্ঘস্থায়ী বিভিন্ন অসুখ থেকে বাঁচতে সরিষা শাক খেতে পারেন।
◾স্বাস্থ্যের জন্য ভালো :
সরিষা শাকে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ যা আমাদের চোখের জন্য ভীষণ উপকারী। এই ভিটামিন আমাদের ত্বক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্যও উপকারী।
◾হার্ট ভালো রাখে :
বেশিরভাগ সবুজ শাকই হার্ট ভালো রাখতে কাজ করে। সরিষা শাকও এর ব্যতিক্রম নয়। এই শাক খেলে তা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এনে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
◾ক্যান্সার প্রতিরোধ :
এতে আছে দুই ধরনের গ্লুকোসিনোলেটস, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত শরিষা শাক খেয়ে থাকেন তাদের বিভিন্ন রকম ক্যান্সার হবার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে অনেক কম।
◾কোলস্টেরল কমায় :
এটি রক্তে কোলস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে আনে। সেই সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতেও কার্যকর। কেননা এটি হজম শক্তি বাড়াতে সরাসরি কাজ করে থাকে।
◾কীভাবে খাবেন :
সরিষা শাক অন্যান্য শাকের মতোই রান্না করে খেতে পারেন। এছাড়াও এটি মসুর ডালের সঙ্গে, স্যুপ হিসেবে, পাস্তা, সালাদ, স্মুদি কিংবা জুস হিসেবেও খেতে পারেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।