ঢাকা মেডিকেল কলেজের জেনারেল ও কোলেরেকটাল সার্জন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হক মাসুম বলেছেন, পিত্তথলিতে পাথর একটি সাধারণ সার্জিক্যাল সমস্যা। অনেকেই পিত্তথলিতে পাথর হলে চিন্তায় পড়ে যান, অস্ত্রোপচার করব নাকি ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করব। অস্ত্রোপচার করলে সেটি কিভাবে করব-ল্যাপরোস্কপির মাধ্যমে,
নাকি কেটে। এজন্য কি বিদেশে যেতে হবে? ল্যাপরোস্কপির মাধ্যমে করলে কি কিছু পাথর থেকে যাবে? রোগীদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, আজকাল প্রত্যেক জেনারেল সার্জন ল্যাপরোস্কপির মাধ্যমেই চিকিৎসা করে থাকেন।
প্রত্যেকেই কৌশলটি আয়ত্ত করেছেন। ল্যাপরোস্কপির মাধ্যমে পিত্তথলির পাথর অপসারণ করলে পেট কাটতে হয় না। পেটে চারটি ছোট ছোট ছিদ্র করে যন্ত্রের মাধ্যমে আমরা পিত্তথলিটা পাথরসহ বের করে নিয়ে আসি, এতে পেটের ভেতরে পাথর থেকে যাওয়ার শঙ্কা একেবারেই কম।
দক্ষ সার্জন যারা ল্যাপরোস্কপিতে অত্যন্ত অভিজ্ঞ তারা এ সার্জারিটা করে থাকেন। বাংলাদেশে অনেক জায়গায় এ সার্জারিটা হয়ে থাকে, আমরাও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে শতভাগ ট্রেডেবেলেটি মেইন্টেন করে কাজ করে থাকি। কোনো কাটাছেঁড়া করতে হয় না এবং অস্ত্রোপচারের পরে সংক্রমণ হওয়ার শঙ্কাও কম থাকে। রোগীরা অস্ত্রোপচারের পরের দিনই বাসায় চলে যেতে পারেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।