শীতকাল পিঠা ছাড়া ভাবাই যায় না। ঘন দুধের মাঝে ভাসতে থাকা আধখানা চাঁদের মত পুলি পিঠা, তার মাঝে দেওয়া নারিকেল আর গুড়ের পুর!

এটা যেমন পেট ভরায় তেমন বেশী স্বাস্থ্যকরও বটে, কারণ এটা তৈরিতে কোন ভাজাভুজির বালাই নেই। চলুন দেখে নিই দুধপুলি তৈরির সহজ একটি রেসিপি।

উপকরণ:

খামিরের জন্য:
১ কাপ চালের গুঁড়ো
সিকি চা চামচ লবণ
১ কাপ পানি

পুরের জন্য:
১ কাপ নারিকেল কোরানো
আধা কাপ খেজুরের গুড়
২টি এলাচ
২ টুকরো দারুচিনি
২ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ

দুধের জন্য:
১ লিটার তরল দুধ
আধা কাপ খেজুরের গুড়
১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো

প্রণালী:

১) প্রথমেই দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। এক লিটার দুধ কম আঁচে বেশ সময় নিয়ে জ্বাল দিন। বারবার নেড়ে দিন যাতে নিচে পুড়ে না যায় এবং মোটা সর না পড়ে। দুধ তিনভাগের একভাগ হয়ে এলে বুঝবেন তা হয়ে এসেছে।

২) এবার পুর তৈরি করে নিন। একটি সসপ্যানে নারিকেল, গুড়, এলাচ ও দারুচিনি নিন। মাঝারি আঁচে নেড়েচেড়ে নিন। যখন দেখবেন মিশ্রণটি আঠালো হয়ে এসেছে এবং

রঙটাও পাল্টে গেছে, তখন চাইলে নামিয়ে নিতে পারেন অথবা এতে গুঁড়ো দুধ দিয়ে আরেকটু নেড়ে নিতে পারেন। এতে স্বাদ অনেকটাই পাল্টে যাবে।

৩) একটি পাত্রে ১ কাপ পানি ও লবণ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে এলে এতে চালের গুঁড়ো দিয়ে দিন। ১০ মিনিট সেদ্ধ করুন। নামিয়ে একটু ঠাণ্ডা হতে দিন।

হাতে ধরার মত ঠাণ্ডা হয়ে এলে তা ভালো করে মেখে খামির তৈরি করে নিন। খামিরের ওপরে একটা ভেজা কাপড় দিয়ে রাখুন।

৪) খামির থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করে নিন হাতেই। এবার এটাকে চেপে চেপে একটা পকেটের মত তৈরি করে ভেতরে একটু পুর দিন এবং পুলিটাকে বন্ধ করে দিন। তৈরি করার পর পুলিটাকে কাপড়ের নিচে রাখুন। এভাবে সবগুলো পুলি তৈরি করে নিন।

৫) খেজুরের গুড়ের সাথে পানি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে একটু পাতলা করে নিন। এরপর তা ঠাণ্ডা করে নিন। ঠাণ্ডা দুধের সাথে ঠাণ্ডা গুড় মিশিয়ে নিন।

এতে দুধ কেটে যাবার চিন্তা থাকবে না। এবার এই দুধ কম আঁচে একটু গরম করে নিন। হালকা গরম দুধে পুলিগুলো দিয়ে দিন এবং কম আঁচেই রাখুন আরো ৫-৬ মিনিট।

 

এরপর পুলিগুলোকে উলটে দিন আলতো হাতে। দুধ বেশী পাতলা মনে হলে এর সাথে একটু চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। আরো ২-৩ মিনিট সেদ্ধ হতে দিন পুলিগুলোকে।

এরপর নামিয়ে নিন। পুলি এমন গরম থাকা অবস্থাতেই পরিবেশন করতে পারেন। অথবা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিতে পারেন।