সন্তানধারণের পর অন্তঃসত্ত্বাদের খাবারের বিষয় বেশ সতর্ক থাকতে হয়। কী খাবেন আর কী খাবেন না, তাই নিয়ে থাকে নানা বাধানিষেধ। কখনও মাঝরাতে মিষ্টি খেতে ইচ্ছা হয়, আবার কখনও কাঁচা আম। অন্তঃসত্ত্বারা মজা করে বলেন তাদের নয়, আসলে খাবার ইচ্ছা জেগেছে গর্ভস্থ সন্তানের। তবে ভাবার বিষয় আদৌ কি তারা খাবারের স্বাদ বোঝে?
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শিশু গর্ভে থাকার সময় মা যদি গাজর খান, তা হলে নাকি তার মুখে হাসি লক্ষ করা যায়, আর মা যদি শাক খান, তা হলে নাকি গর্ভস্থ শিশু মুখ ব্যাঁকায়। ইংল্যান্ডে প্রায় ১০০ জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং তাদের ভ্রূণের উপর করা একটি নতুন গবেষণার ফলাফল বুধবার প্রকাশিত হয়েছে সেজ জার্নাল পত্রিকায়। গবেষণায় মায়েদের শাক এবং গাজরের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল।
গবেষণায় ৩৫ জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ১টা মাঝারি আকারের গাজর ক্যাপসুল আকারে দেওয়া হয়, ৩৪ জন মহিলাদের ১০০ গ্রাম কুচোনো শাক ক্যাপসুল আকারে দেয়া হয়। এবং বাকি মহিলাদের কিছুই দেয়া হয়নি।
১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি মহিলারা এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন যারা প্রত্যেকেই ৩২ থেকে ৩৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। ক্যাপসুল খাওয়ার ২০ মিনিট পরে বিশেষ ৪টি আলট্রাসাউন্ড পদ্ধতিতে ভ্রূণগুলির মুখের এক এক রকম হাবভাব ধরা পড়ে। দেখা গিয়েছে, যে সকল ভ্রূণ গাজরের সংস্পর্শে এসেছে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে অথচ যারা শাকের সংস্পর্শে এসেছে তাদের মুখে কোনও হাসি নেই, বরং তারা মুখ ব্যাঁকাচ্ছে।
গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক এবং দুরহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেটা ও নিওনেটাল রিসার্চ ল্যাবের প্রধান নাদজ়া রেইসল্যান্ড বলেন, মা কিছু খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গর্ভস্থ ভ্রূণের মুখের হাবভাব কেমন হয় তা, আমরাই প্রথম আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান করে দেখাতে পেরেছি। গবেষকদের মতে, গর্ভস্থ শিশুদের ভবিষ্যতে খাদ্যাভাস কেমন হতে পারে সেই ব্যাপারে ইঙ্গিত দেয় এই গবেষণা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।