পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র সম্পর্কগুলোর একটি হলো বিয়ে। বিয়ের সিদ্ধান্ত একটি মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর একটি। বিয়ে শুধু একটি সামাজিক বন্ধনই নয়, এটির ওপর নির্ভর করে দু’টি মানুষের সারাজীবনের স্বাচ্ছন্দ্যতা, ভালো থাকা, সুখী থাকা এবং জীবনকে উপভোগ করার উপাদান।

বিয়ের ক্ষেত্রে আপনার সঙ্গীর মধ্যে যদি ত্রুটি থাকে বা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যদি ভালো না হয়, তবে তা সারাজীবনের দুঃখ বয়ে আনে। তাই বিয়ের ক্ষেত্রে সঙ্গী বাছাই করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষেরা নিজের সঙ্গী বাছাইয়ে ভুল করে থাকেন। তাই বিয়ের আগে নারীর কিছু গুণ দেখে নেয়া জরুরী।

শিক্ষিত মেয়ে
বিয়ে করার আগে অবশ্যই দেখে নেয়া উচিৎ, পাত্রী যথেষ্ট শিক্ষিত কিনা! কেবল সার্টিফিকেটেই নয়, মানুষের আচরণেও শিক্ষিতের ছাপ থাকাটা জরুরি। আপনার পছন্দের নারীর আচরণে তার শিক্ষিত স্বভাব কতটা স্পষ্ট সেদিকে খেয়াল করুন। যখন এমন কোনো নারীর দেখা পাবেন, সুযোগ থাকলে তাকে বিয়ে করে নিন। একজন শিক্ষিত মা একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে পারে।

ধৈর্যশীল মেয়ে
জীবনে টিকে থাকতে হলে ধৈর্য থাকাটা খুব জরুরি। যে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্যও থাকা চাই ধৈর্য। সংসার করতে গেলে নানা ঝড়-ঝঞ্ঝা পাড়ি দিতে হতে পারে। একজন ধৈর্যশীল নারী এক্ষেত্রে সামলে উঠতে পারবেন। তাই যে নারী ধৈর্যশীল, তাকে বিয়ে করুন। এতে আপনার জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান সহজ হবে।

বুদ্ধিমতি মেয়ে
বিয়ে করলে অবশ্যই বুদ্ধিমতি নারীকে বিয়ে করবেন। কারণ পরবর্তীতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সে নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কাটিয়ে উঠতে পারবেন। একজন নারী বুদ্ধিমতি কিনা তা তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললেই আঁচ করতে পারবেন, যদি আপনি নিজে বুদ্ধিমান হন। তাই বিয়ের আগে নিজের বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে একজন বুদ্ধিমতি নারীকে খুঁজে নিন।

যে আপনাকে ভালোবাসে
যে আপনাকে সত্যিকারভাবে ভালোবাসে, তাকে খুঁজে পেলে আর ভাবাভাবির দরকার নেই। কারণ কেউ যখন মন থেকে ভালোবাসে, তার অন্য গুণগুলো গৌণ হয়ে যায়। ভালোবাসা কে না পেতে চায়! তাই যে আপনাকে ভালোবাসে তার সঙ্গে আপনি ভালো থাকতে পারবেন।