অনেকেই দিনের ১২-১৪ ঘণ্টা কাটিয়ে দেন অফিসে। সম্প্রতি বাংলাদেশের ব্যাংকারদের উপর পরিচালিত একটি গবেষণায় জানা গেছে, যারা বেশি সময় অফিসে বসে কাজ করেন তাদের ঘাড়, কোমর, হাটু বা কাঁধ ব্যথা হবার প্রবণতা অনেক অনেক বেশি।

বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা যায় অফিস সিনড্রোম। অফিসে যারা ৮ ঘন্টা কাজ করতেন সেখানে অনেকে আবার বাসায় ১০ ঘন্টাও কাজ করেন। আবার অফিসের কাজের সময় বাহিরেও কাজ থাকছে ওই সময়টায় বাহিরে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন। কিন্তু যারা বাসাতেই এই সুযোগ থাকে না। অনেকের আবার দিনের বেশির ভাগ সময় ডেস্কটপের সামে কাটে। এভাবে যত বেশি কাজ করছেন তত চাপ পড়ছে শরীরের প্রতিটি পেশী, সন্ধি, এমনকি চোখেরও। সব মিলিয়ে সমস্যা বাড়ছে। আজ আমরা আই সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণের উপায় জানবো।

বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা যাবে না। প্রতি একঘন্টায় এক মিনিটের জন্য হলেও পজিশন পরিবর্তন করতে হবে। সুযোগ থাকলে হালকা স্ট্রেচিং করা যেতে পারে। কিছু খুব সাধারণ অথচ বিশেষ ব্যায়াম আছে যা অফিসের চেয়ারে বসেই করা যায়, সেগুলো জানতে হবে। যারা ইতোমধ্যেই ব্যথায় আক্রান্ত তারা বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।

আপনার মোবিলিটি বা নাড়াচাড়া বাড়াতে হবে। একটি শ্লোগান মনে রাখা দরকার, ‘সুস্থ থাকতে হাটতে হবে’। অনেকেই অজুহাত দেন যে তাদের হাটার সময় নেই। কিন্তু আপনি চাইলেই হাটতে পারেন। যেমন ধরুন অফিস থেকে বাসায় ফিরতে যেটুকু রাস্তা রিক্সায় আসেন সেটুকু আজ থেকে হেটে আসুন অথবা সাধের প্রাইভেট কারটা গ্যারেজে রেখে হেটে অফিস করুন, দেখবেন অর্থও সাশ্রয় হচ্ছে সাথে ভালো থাকছে শরীর ও মন।

প্রায়ই বেরিয়ে পড়ুন এডভেঞ্চারে। হাতে সময় কম থাকলে আশেপাশের টুরিস্ট স্পট ভিজিট করুন। সাঁতার কাটুন, দৌড়ান বা হিল ট্রাকিং করুন। শারীরিকশ্রমের সাথে সাথে পাবেন সূর্যের ভিটামিন ডি। মনে রাখুন, আমাদের পূর্বপূরুষদের সবকিছুই ছিলো শারীরিক শ্রম নির্ভর। আপনিও এই জেনেটিক্সের বাইরের কেউ নন!

বাড়ির খাবার যেমন খাচ্ছেন খান, সঙ্গে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার একটু খেতে হবে। কাজেই ডিম, দুধ, দই খাওয়ার চেষ্টা করুন নিয়মিত। জল খাবেন পর্যাপ্ত৷ চা-কফি-কোল্ডড্রিঙ্কে-মদ-সিগারেটে রাশ টানতে হবে। টানা কাজের মাঝে ব্যাপারটা করা কঠিন। তাও যতটা পারেন করুন৷ ভাল থাকতে পারবেন।