অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। আর এটি লবণ খাওয়ার বেলাতেও সত্য। আমাদের শরীরে স্বাভাবিক কাজগুলো করতে দৈনিক ৫ গ্রাম বা এক চা চামচের বেশি লবণের দরকার নেই।

বেশি লবণ শরীরের জন্যে ক্ষতিকর। লবণের মূল কাজ পেশী এবং স্নায়ুর কাজে সাহায্য করা ও শরীরে জল নিয়ন্ত্রণ করা। কাঁচা লবণ খাওয়ার চেয়ে বিভিন্ন খাবারের মধ্যে যে লবণ থাকে, তার মাধ্যমে শরীরের জন্যে প্রয়োজনীয় লবণ পেয়ে থাকি আমরা। লবণ বেশি খেলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় ব্লাড প্রেশারে। রক্ত চাপ বেড়ে যায়। সাথে বেশি লবণ খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে, হার্টে সমস্যা হয়, হাড় ক্ষয় বেড়ে যায়, পাকস্থলীর ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা থাকে, কিডনিতে বিভিন্ন জটিলতা বাড়ে। তাই লবণ বেশি খেলে কী কী ক্ষতি তা জানা দরকার।

শরীরে তরলের ভারসাম্য ঠিকঠাক রাখতে সামান্য পরিমাণ সোডিয়াম গ্রহণই যথেষ্ট। তবে বাড়তি সোডিয়াম কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ কিডনির ওপর চাপ বাড়িয়ে দেয় এবং কিডনির কার্যক্রম নষ্ট করে।

হৃদরোগ বা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। আর উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ অতিরিক্ত লবণ খাওয়া।

অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ রক্তনালিকে সংকুচিত করে দেয় এবং রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে রক্তচাপ বাড়ে।

বেশি পরিমাণে লবণ খাওয়া পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এমনকি ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ড অ্যান্ড আমেরিকান ইন্সটিটিউট ফর ক্যানসার রিসার্চ নিশ্চিত করেছে যে অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার পাকস্থলীর ক্যানসার তৈরি করতে পারে।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া হাড়কে দুর্বল করে দেয়। বেশি লবণ খেলে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম কমে যায়। শক্তিশালী হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম খুব জরুরি।

ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় দ্রুত ভঙ্গুর হয়ে পড়ে এবং এতে অস্টিওপরোসিস রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শরীরের পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, স্থূলতা ও অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়ায়।