যদিও করলা এক প্রকার তেতোজাতীয় সবজি তবে এর পুষ্টিগুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। রূপলাবণ্য ধরে রাখতে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই।

করলার রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফাইবার। এসব উপাদান বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য, সর্দিকাশি, হাঁপানি, পেটের রোগ সহ নানা শারীরিক সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করা যায় করলার রসে।

এর উপকারিতা পেতে করলার রস আপনি যেমন পান করতে পারেন তেমনি রূপচর্চায়ও ব্যবহার করতে পারেন। করলার রসের সঙ্গে অল্প পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এটা পান করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। ইচ্ছে করলে খুব সামান্য মধু দিতে পারেন। লিভার ভালো রাখতে এটা দারুণ কাজ করবে। যারা শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে দারুণ উপযোগী করলার রস।

রূপচর্চায় করলার রস ব্যবহার করতে এই সবজিকে করলার রস করে একটি পাত্রে ফ্রিজে রেখে দিন। বিকেলে বাইরে থেকে ফিরে করলার রসে তুলা ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। দেখবেন ফ্রেশ অনুভব করবেন। এতে ত্বকের থেকে বলিরেখা দূর হবে।

রোদে পোড়া ত্বকে জেল্লা ফেরাতে দারুণ কাজ দেয় করলার রস। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে মুখে করলার রস মেখে নিন। ৫ মিনিট রেখে উষ্ণ পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এটা তিনবার করতে পারেন। দেখবেন উপকার পাবেন।

তবে শুধু ত্বকের জন্যই নয়। করলা চুলের নানা সমস্যা দূর করতেও দারুণ সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা খুসকির সমস্যায় ভুগছেন তারা সপ্তাহে ৩ দিন করলার রস মাথায় ম্যাসাজ করুন।

অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে কিংবা চুল পড়ে গেলে সপ্তাহে তিন দিন করলার রস ও তার সঙ্গে পাতিলেবু মিশিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে নিন। এতে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন আপনি।

করলার রসে রূপচর্চা করতে কারও কোনো অসুবিধা না হলেও এই পানীয় পান করতে হয়তো অনেকেই ব্যর্থ হবেন এর তেতো স্বাদের জন্য। তাই বলে একে ডায়েট লিস্ট থেকে বাদ দিলে চলবে না। এই সমস্যায় আপনি করলা সিদ্ধ করে ভর্তা বানিয়ে তা ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন সিদ্ধ করা পানি যেন করলাতেই শুকিয়ে যায়। সিদ্ধ করা পানি ফেলে দিয়ে ভর্তা খেলে এর পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যাবে।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন