দেশীয় ফল বরইয়ের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। মৌসুমি এ ফলটি একদিকে যেমন স্বাদে টইটম্বুর তেমনি আবার গুণের দিক থেকেও হাজার গুণে ভরপুর। দেখতে গোলাকার এ ফলটি কাঁচা অবস্থায় যেমন নুন, মরিচ, লংকা দিয়ে ভর্তা হিসাবে বেশ প্রচলিত তেমনি পাকা অবস্থায় পাশাপাশি বছরজুড়ে সংরক্ষণ করে খেতে এর আচারও বেশ পরিচিত। আচারের মাঝেও আছে ভিন্নতা। টক কিংবা মিষ্টির সঙ্গে ঝাল স্বাদের ভিন্নতা একঘেয়েমি খাবারের স্বাদ থেকেও ছুটি দেয়।
অন্যদিকে কেবল স্বাদের দিক থেকেই নয় এর গুণাবলির দিক থেকেও বরই এগিয়ে আছে সমানভাবে। বরইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এতে করে দ্রুত ইনফেকশন কিংবা ঘা সেরে উঠতে যেমন সহায়তা করে তেমনি জিহ্বা কিংবা ঠোঁটে ঘা থেকেও সুরক্ষা দেয়। অন্যদিকে বরইয়ে আছে পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেটসহ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা আপনার হজম ক্ষমতা বাড়াতেও সহয়তা করে। এ ছাড়া যাদের হাড় দুর্বল তারা প্রতিদিন বরই খেতে পারেন। এতে করে হাড় মজবুত হবে।
অন্যদিকে সার্ভিক্যাল ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার, লিভার ক্যানসার, কোলন ক্যানসার এবং স্কিন ক্যানসারের ক্ষেত্রে বরইয়ের রস দারুণভাবে কাজ করে থাকে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বরইয়ের জুড়ি নেই। এ ছাড়া মৌসুমি সর্দি, কাশি কিংবা জ্বরের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতেও বরই হতে পারে আপনার এ মুহূর্তের সবচেয়ে ভালো নির্বাচন। এর পাশাপাশি যারা ওজন কমাতে চান তারাও বেছে নিতে পারেন এ ফলটি। উচ্চরক্তচাপ কিংবা ডায়েবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও বরই খুব কার্যকর একটি ফল। মৌসুমি এ ফলটি তাই খাবারের তালিকাতে রাখুন। যাতে মহামারির এ সময়েও আপনি শরীরকে করে তুলতে পারেন রোগ প্রতিরোধক সঙ্গে অন্যান্য রোগ থেকেও সুরক্ষিত রাখতে পারেন বছরজুড়ে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।