জমকালো আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করে নিল গোটা বিশ্ব। পুরান বছরের ব্যর্থতাকে ভুলে নতুন বছরের সফলতাকে ধরতে বাদ দিতে হবে পুরনো অভ্যাস।

অতীতের সব বদ অভ্যাস বাদ দিয়ে শুরু করবে হবে সৃজনশীল অভ্যাস, যা আপনার সফলতার দ্বার খুলে দিবে। পাল্টে যাবে জীবনের মোড়। এবার কিছু অভ্যাসের কথা আলোচনা করা হচ্ছে যা ত্যাগ করতে পারলে ধরা দিবে সফলতা।

দেরি করা

যেকোনো কাজে দেরি করার অভ্যাস আমাদের জীবনে ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে। এরকম চলতে থাকলে অন্যরা আপনাকে বিশ্বাস করতে পারবে না। তারা সবসময়ই আপনার বিষয়ে হতাশ থাকবে। ফলে আপনি কখনোই একজন নির্ভরযোগ্য মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন না। এই বদ অভ্যাস বাদ দেওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সময়ের গুরুত্ব অনুধাবন করা।

নিজের প্রতি কঠোর হওয়া

কখনও কখনও সময়মতো কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। যদি একান্ত চেষ্টার পরেও সেটি না করতে পারেন তবে হতাশ হবেন না। নিজের ওপর বাড়তি বোঝা চাপিয়ে দেবেন না। কারণ, এমনটা হতেই পারে। তাই ধীরে-সুস্থে পুনরায় কাজের প্রতি মনোযোগ দিন। নিজের প্রতি অভিযোগ রাখবেন না।

< শেষ মুহূর্তে হাল ছেড়ে দেয়া

দেরি হওয়ার চেয়েও এটি খারাপ অভ্যাস। কারণ, অনেক রকম প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের ফল পেতে চাইলে কিছুটা ধৈর্য থাকা লাগে। যখন আপনার মনে হবে—আর পারছেন না, তখন নিজেকে আরেকটু শক্তি জোগান। মনকে বলুন যে আমি পারবই। একটা সময় দেখবেন কাজটি সত্যিই শেষ হয়েছে। আর আপনি পাবেন সফলতার স্বাদ।

নেতিবাচক বিষয়ের ওপর জোর দেয়া

যাদের শুধুমাত্র নেতিবাচক দিকে মনোনিবেশ করার অভ্যাস আছে, তারা জীবনে শুধুমাত্র নেতিবাচক পরিস্থিতিরই সম্মুখীন হয়। এটি বদ অভ্যাসের একটি অন্তহীন বৃত্ত। আপনি যতই এই বদ অভ্যাস শেষ করার চেষ্টা করবেন, ততই আপনি এতে জড়িয়ে যাবেন। এটি বাদ দিতে না পারলে জীবনে ঘটে যাওয়া নেতিবাচক জিনিসগুলোর বদলে ইতিবাচক দিকগুলোর কথা ভাবুন। ধীরে ধীরে আপনার স্বভাবও ইতিবাচক হয়ে উঠবে।

দোষারোপ করা

নিজের দুর্ভাগ্য কিংবা ব্যর্থতার জন্য অন্যদের দোষ দেওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। সফল মানুষের দিকে তাকান, দেখবেন তাদের প্রচেষ্টাই তাদের সফল করেছে। তাই নিজের প্রতি মনোযোগ দিন। অন্যকে দোষ দিয়ে আত্মতৃপ্তি হয়তো পাবেন কিন্তু দিন শেষে আপনার নাম থাকবে ব্যর্থ মানুষের তালিকায়। আবার কিছু জিনিস থাকে যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাই যা পাননি তার জন্য মনে আফসোস রাখবেন না।